প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার দুপুরে মাগুরার পারন্দুয়ালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। এমন কোনো শক্তি নেই যা এ নির্বাচনকে ঠেকাতে পারবে।
শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, যা সবার সহযোগিতায় সম্ভব হবে।”
‘বর্ষা শেষ হলে পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনের আমেজ নেমে আসবে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে যাবেন, পাড়ায় পাড়ায় ভোটের অফিস হবে। তখন কারো মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তা কেটে যাবে। ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই অনুষ্ঠিত হবে’-উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, “জুলাই আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যুবলীগের খুনি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি। উনি ছাত্রদলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। আমি তার কবরে গিয়েছিলাম। একই এলাকার আল আমিন ছোট ব্যবসা করতেন ঢাকাতে। উনাকেও গুলি করে মারা হয়েছে। উনার কবর মাগুরা উপকণ্ঠে রয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম ফুল দিতে। মাগুরা জেলায় মোট ১০ জন শহীদ আছেন। বাকি ৮ জনের প্রত্যেকের কবরস্থানে যাবো।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, এই শহীদরা নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা। তাদের আত্মদানের ফলে আমরা নতুন একটা দেশ পেয়েছি। আমরা আজকের এই দিনে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি। আমরা এখন পলিটিকাল সেটেলমেন্ট করছি। সামনে সুন্দর একটি নির্বাচন হবে। শহীদদের কারণে আমরা নতুন বাংলাদেশটা পেয়েছি। সেজন্য তাদের সম্মান জানাতে কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
সূত্র: এফএনএস।