অবশেষে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকার লুণ্ঠিত পাথর উদ্ধারে রাতভর অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। অভিযানে ধলাই নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ হাজার ঘনফুট লুটের পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর পুনরায় ধলাই নদীতে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এ পর্যটন কেন্দ্র রক্ষায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
গতকাল বুধবার রাত ১২টার পর থেকে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
এবিষয়ে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার জানিয়েছেন, “পাথর লুটের ঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার রাতে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান চালায় ওই কমিটি। এসময় লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। পরে ভোলাহাটের সাদা পাথর এলাকা ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধারকৃত পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়।”
বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে এক জরুরি সমন্বয় সভায় পাথর উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও সভায় সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করার নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত।
প্রশাসনের জরুরি বৈঠক শেষে রাত ১২টার পর থেকে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী। সিলেট নগরী ও সাদা পাথর এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাদা পাথর থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। লুট করা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।”
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিলেট সেনা নিবাসের ৩৪ বীর মেজর মো. রাজিব হোসাইন বলছেন, এরই মধ্যে চুরি হওয়া পাথর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রমাণও মিলেছে। যেসব পরিবহনে সাদা পাথর পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো জব্দ করে অভিযান শেষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া শুধু পাথর উদ্ধার নয় বরং এ লুটের সঙ্গে যারাই জড়িত, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকেও দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন গত ১৩ আগস্ট একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত কমিটি পাথর লুটের ঘটনা অনুসন্ধান করে। ১৭ আগস্টের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দেয়া হয়েছে নির্দেশ।
সূত্র: এফএনএস।