1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন

সাংবাদিক তুহিনের দাফন সম্পন্ন

ডিডিএন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ০ সময় দর্শন

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের দাফন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার নিজ বাড়ির পাশে সামাজিক কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) মাগরিব বাদ দ্বিতীয় জানাজা শেষে জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের বাড়ির পাশে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বাদ জুমা তুহিনের প্রথম জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয় সাংবাদিক তুহিনের লাশ।

মাগরিব বাদ দ্বিতীয় জানাজা শেষে সাংবাদিক দাফন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, এভাবে কুপিয়ে হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তুহিনরা পাঁচভাই। প্রত্যকেই কাজের তাগিদে সিলেট ও গাজিপুরে থাকেন। তারা কেউ রাজনীতির সাথে জড়িত না। তুহিন খুব ভালো ছেলে ছিল। নিয়মিত বাবা মায়ের সেবা ও খোঁজখবর নিতেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

একই এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, তুহিন সাংবাদিকতা পেশায় খুব ভাল করেছিল। অল্প সময়েই সে বেশ নাম-ডাক অর্জন করেছিল। তবে, তারা ৫ ভাইয়ের মাঝে তুহিনের আয়-রোজগার বেশি ছিল। সেই সংসারের হাল ধরেছিল। এখন তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার দু’সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে যাবে। সরকার যদি সহায়তা করে, তাহলে তুহিনের পরিবারের জন্য খুব ভালো হবে।

বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তারা দেশী অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিল। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করছিলেন। তখন আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৬ নম্বর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মো. হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পত্তির ছেলে। তুহিন পাঁচ ভাই ও দু’বোনের মাঝে সবার ছোট।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রীর নাম মুক্তা আক্তার। তাদের সংসারে দু’ছেলে রয়েছে। বড় ছেলের নাম তৌকির (৭) ও ছোট ছেলের নাম ফাহিম (৩) সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন বলেন, আমার ছেলে তুহিন কালকে (বুধবার) বলেছিল, ‘আম্মা আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাবো। ডাক্তার অপারেশন

করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে, বুক চাপরে আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলছিলেন গাজিপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ছেলের এমন মৃত্যুর খবরে পাগল প্রায় বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামাল। ক্ষণে ক্ষণেই মুর্ছা যাচ্ছেন।

আহাজারি করতে করতে তিনি বলেন, কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? কী অন‍্যায় করেছিল সে? কেন এমন হলো। আমি খুনিদের চাই না। তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।

বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের খোঁজ খবর নেয়। আমার ভাই কোনোদিন কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। কখনো খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা দিত না, কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো, আমার ভাইয়ের কি অপরাধ ছিল, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

স্বজনরা জানায়, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০২ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৫ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর গাজীপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করে সেখানে ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। পরে ঔষধ কোম্পানি চাকুরি নেন। পাশাপাশি ২০১২ সালে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। তবে ২০০৯ বা ১০ সালের দিকে হঠাৎ বড় ভাই জসিম ক‍্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

বর্তমানে তুহিন ও তার অপর ভাই সেলিম গাজীপুরে বসবাস করছিলেন। এর মধে‍্য সেলিম পরিবহন শ্রমিকের কাজ করেন। দ্বিতীয় ভাই জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজার টেকনাফে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন‍্য ভাই শাজাহান মিয়া বর্তর্মানে সিলেটে বসবাস করেন। তাদের দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বতর্মানে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা বসবাস করেন। তারা বার্ধক‍্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। ছেলেরাই তাদের দেখভাল করে আসছিলেন।

সূত্র: আমার দেশ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host