তাঁর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ২৯ অক্টোবর। সব কিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দিয়েই সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। সেই প্রস্তুতি নিতেই দেশে ফেরা সাকিব ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএসপিতে নিবিড় অনুশীলনেও নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এই অলরাউন্ডার আবারও যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে গেছেন। তবে ফিরবেনও দ্রুতই। কারণ নাজমুলের ভাষ্যানুযায়ী আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে সম্ভাব্য করপোরেট টি-টোয়েন্টি লিগ দিয়েই ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন সাকিব।
সে ক্ষেত্রে অন্তত দিন পনেরো আগে ফিরে তো প্রস্তুতি শুরুরও ব্যাপার আছে। শুধু সাকিব নন, একই আসর দিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজাও খেলায় ফিরবেন বলে কাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নাজমুল। এর আগে ১১ অক্টোবর থেকে তিন দলের যে ওয়ানডে আসর বসছে, সেটিতে মাশরাফির না থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘তিন দলের টুর্নামেন্টে ও খেলতে চায়নি, ব্যাপারটি এমন নয়। ওর প্রস্তুতির বিষয় আছে। তা ছাড়া টুর্নামেন্টটির কথা সে হঠাৎ করেই শুনেছে। পরবর্তী যে টুর্নামেন্ট আছে, তাতে মাশরাফি অবশ্যই খেলবে।’
তবে পরবর্তী আসরটি যে করপোরেট টি-টোয়েন্টি লিগই হবে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিসিবি সভাপতি, ‘এটি করপোরেট লিগই হবে নাকি বিসিবির পৃষ্ঠপোষকতায়, তা এখনই বলতে পারছি না।’ পাঁচ দলের সেই টুর্নামেন্ট আয়োজনে এরই মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সাড়াও মিলেছে বলে জানালেন নাজমুল। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শেষ পর্যন্ত আসরটি করপোরেট লিগই হতে পারে, ‘এটি খুব কম বাজেটের টুর্নামেন্ট। বিপিএলের মতো অনেক টাকার নয়। কাজেই আমার মনে হয় না এটি আয়োজনে কোনো সমস্যা হবে।’
কম বাজেটের হলেও এই আসরে বিপিএলের ছোঁয়া রাখতে চায় বিসিবি। সে জন্যই চূড়ান্ত না হলেও বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর চিন্তা আছে, ‘বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আরো দু-এক দিন পর জানাব। আরো কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যেমন—অকশন হবে নাকি ব্যাপারটি উন্মুক্ত দেওয়া হবে, যাতে দলগুলো যার যার মতো খেলোয়াড় আনতে পারে। নাকি আমরা একটা পুল করে দেব, তার মধ্য থেকে খেলোয়াড় নিতে হবে। এগুলো চূড়ান্ত করা বাকি। তবে শেষ পর্যন্ত হয়তো অকশনই হবে।’
এসব আয়োজনে সমস্যা না দেখলেও নাজমুল সংকট দেখছেন গত ১৬ মার্চের পর থেকে স্থগিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরু নিয়ে, ‘লিগ চালু করতে অবশ্যই আমি এক পায়ে খাড়া। দুটি জিনিস জানতে চাই। ক্লাবগুলো আগ্রহী কি না। কারণ তাদের ব্যবস্থাপনাগত অনেক ব্যাপার রয়েছে। ওরা যদি না পারে বা ওরা যদি আগ্রহী না থাকে, তাহলে কী ফর্মুলা হবে, জানতে হবে তাও।’