বিশেষ প্রতিনিধি : পাবনা -৩ (ভাঙ্গুড়া,চাটমোহর,ফরিদপুর)এলাকায় বিএনপির এক জনপ্রিয় রাজনীতিক হয়ে উঠেছেন এডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি শাসনের যাতাকলে বিএনপি যখন নিষ্পেষিত,কর্মীরা বনজঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ! স্বাধীন ভাবে কথা বলার ক্ষমতাটুকু ছিলনা তাদের। ঠিক তখন মাসুদ খন্দকার পাবনা বারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বেরিকেড ভেঙ্গে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপরই দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের পাশে থেকে বিএনপিকে সুসংগঠিত করার জন্য মাসুদ খন্দকারকে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব প্রদান করেন। তারপর থেকে তিনি গোটা জেলার পাশাপাশি তার নির্বাচনী এলাকা ভাঙ্গুড়া,চাটমোহর ও ফরিদপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম,মহল্লায় চষে বেড়াচ্ছেন।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আদর্শের একনিষ্ঠ সিপাহী হয়ে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে লেগে যান। এজন্য তিনি কয়েকবার জেল জুলুমের শিকার হন। তারপরও কোনো বাধাই তাকে দমাতে পারেনি। দলের নিস্ক্রিয়দের পরিবর্তে উদ্যমী,সাহসী ও জিয়ার আদশ্যের বিশ্বস্ত সৈনিকদের প্রাধান্য দিয়ে তিনি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেন। তখন এমন এক সময়, যখন দলের অনেক নেতা ফ্যাসিবাদিরে সাথে আপোষ করে চলছিলেন। এমন অবস্থায় তিনি যখন যেখানে গেছেন, সেখানেই আওয়ামীলীগের গুন্ডারা তাকে কোথাও দাঁড়াতে দেয়নি। কর্মীদের সাথে একত্রে দেখলেই পুলিশ ও ছাত্রলীগ তাকে ধাওয়া করেছে। তবুও তিনি থেমে থাকেননি,জিয়া ভক্তদের নিয়ে রাজপথে লড়াকু সৈনিক হয়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
অবশেষে আগষ্ট বিল্পবের পর তিনি নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় বিএনপিকে পুন:গঠনে মনোযোগ দেন। এতে কমীরা তার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় স্বতস্ফূর্ত সাড়া দিতে এগিয়ে আসেন।
এভাবে তিনি জেলার পাশাপাশি ভাঙ্গুড়া,চাটমোহর ও ফরিদরপুর উপজেলা,পৌরসভা,ইউনিয়ন,ওয়ার্ড প্রভৃতিতে নয়া কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন। এতে দলীয় নেতা-কর্মীরা যেমন উজ্জীবিত হচ্ছেন,তেমনি রাজনীতিতে সকলে নতুন উদ্যেমে সক্রিয় হয়ে ওঠার সুযোগ লাভ করেন। অত্যন্ত নিরপেক্ষ,অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দলীয় কাউন্সিলে সংখ্যাধিক ভোট প্রাপ্তদের হাতে নেতৃত্ব বুঝে দিয়ে তিনি বিএনপিকে সুসংগঠিত করার কাজ করছেন। আর এসব কর্মকান্ড তাকে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
সম্প্রতি পাবনার বেড়া,চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও আটঘরিয়া উপজেলায় বিএনপির কয়েকটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের জন্য নেতা নির্বাচন করা হয়েছে। যা ব্যাপকভাবে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মীদের মধ্যে বিএনপির ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এডভোকেট মাসুদ খন্দকার যেখানেই যাচ্ছেন তার সাথে হাজারো কর্মীযুক্ত হয়ে ধানের শীষের শ্লোগানে শ্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তুলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তা স্পষ্ট হয়েছে।
গত সোমবার (৩ফেব্রুয়ারি,২০২৫) ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির কর্মিসভায় প্রায় দশ হাজার মানুষের উপস্থিতি এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পাশাপাশি স্থানীয় নেতা মাসুদ খন্দকারের সমর্থনে মুহুর্মুহ ম্লোগান তার জনপ্রিয়তায় নতুনমাত্রা পেয়েছে। একজন নিবেদিত রাজনীতিক,যার দলের প্রতি রয়েছে অকুন্ঠ আনুগত্যতা ও দীর্ঘ সময় ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বলে সবাই মনে করেন।
মাসুদ খন্দকার যখন এডওয়ার্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি ছাত্রদল সংগঠন করেন। অতপর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে ছাত্রদের ব্যাপকভাবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যুক্ত করতে সক্ষম হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ছাত্র থাকাকালে রিজভী আহমদের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সেইসঙ্গে হবিবুর রহমান হল সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে গুরুত্বপুণৃ ব্যক্তিতে পরিণত হন। সে সময় ছাত্রলীগের কয়েকটি মিথ্যা মামলায় ব্যাপক হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
পাবনা জেলা জজ কোর্টে আইনপেশা শুরুর প্রাক্কালে দুই মেয়াদে ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবির তালিকাভুক্ত হন।
পরবর্তীতে জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ হোল্ড করার পাশাপাশি তিনি কয়েকবার পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় দলীয় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনি সহায়তা প্রদানে তার অতুলনীয় ভুমিকায় ব্যাপক প্রশংসা ও সুনাম অর্জিত হয়। এছাড়া তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উর্ধতন সংগঠনের অন্যতম নেতা নির্বাচিত হন। এভাবে সকল নির্বাচনে তিনি অপ্রতিরোধ্য থেকে নিরংকুশ সাফল্যর গৌরব অর্জন করেন।
এড.মাসুদ খন্দকার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন ,দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কর্মসূচী পালনের ক্ষেত্রে বহুবার নির্যাতনের শিকার হন। স্বৈর শাসকের চাপিয়ে দেওয়া মিথ্যা মামলায় জেল জুলুমের শিকার হন । কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব এর নেতৃত্বে পাবনা জেলায় বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে সর্বদা নিরলস ভাবে কাজ করছেন তিনি। বিএনপির মুল ধারার রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঝেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান,তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের সাথে ঘন ঘন জুম মিটিং এ তার বক্তব্য ও দলকে সুসংগঠিতকরণে গৃহিত কর্মসূচী বাস্তবায়নে মাসুদ খন্দকারের যাত্রাপথ আরো সুদৃঢ় হয়।
এডভোকেট মাসুদ খন্দকার পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরের বাসিন্দা। তার পৈত্রিক ভিটা অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী গ্রামে ( পুর্বে চাটমোহর থানার নিমাইচড়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল)। তার দাদা আলহাজ ফজলুর রহমান খন্দকার নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার বাবা আলহাজ হাবিবুর রহমান খন্দকার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন এবং সহকারী পরিচালক হিসাবে অবসর গ্রহন করেন। বংশানুক্রমিক ভাবেই পরিবারটি মুসলিম ঐতিহ্য লালনকারি ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।
এসব কারণে পাবনা -৩ এলাকার মানুষ এডভোকেট মাসুদ খন্দকারকে বিএনপির মুখ্য ব্যক্তি হিসাবে কাছে পেয়েছেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাকেই ধানের শীষের কান্ডারি বানানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন – এমন তথ্যই এখন দলের মাঠ থেকে উঠে আসছে।।