করোলার গুণের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবাই বেছে নেন করলাকে। করলার রস পেটের মেদ খুব সহজে কমিয়ে ফেলতে পারে আবার সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করে। আবার অনেকে ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে চোখ বন্ধ করে করোলার রস খাওয়া শুরু করেন। তারা বিশ্বাস করেন করোলার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। করোলার আরো গুণাগুণ নিয়ে বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি এন্ড অলটারনেটিভ মেডিসেনে একটি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
করলায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকায়। ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, অ্যানিমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই সবজিটি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর:
যাদের শ্বাসকষ্ট হয় বা ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে করলার রস। কেরেলার রস নিয়মিত পান ফুসফুসগুলিতে জমে থাকা কফ দূর করে দীর্ঘস্থায়ী কাশি এবং শ্বাসকষ্টের নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
ত্বকের লাবণ্য:
করলা রক্ত বিশুদ্ধ করে। সেই সাথে ডিটক্সের কাজ করে। এতে করে ত্বক পরিষ্কার হয় ও লাবণ্য ফিরে আসে।
হজমে সহায়তা:
করলার রস খাবার হজম করতে সহায়তা করে। এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত শরীরে খাবার হজম হয়।
এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা,দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা, পাইলসের চিকিৎসায় করলার রসের কার্যকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া