নাটোরের চলনবিল এলাকায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের জন্যে প্রস্তুত বীজতলার চারা রোপণ উপযোগী হয়েছে। সিংড়া উপজেলার বালুভরা এলাকায় সমলয় স্কীমে ৫০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে একযোগে চারা রোপণ করা হবে।
সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান আবাদের জন্যে কৃষি বিভাগ ১৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার প্রণোদনা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রণোদনা উপকরণের মধ্যে রয়েছে আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রে’তে চারা উৎপাদন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ এবং কম্বাইন হারভেস্টরে ধান কর্তন সুবিধা ছাড়াও প্রয়োজনীয় সার প্রদান করা।
সিংড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বালুভরা এবং নিংগইন এলাকায় ৪৫০টি ট্রে’তে উচ্চ ফলনশীল বোরো ব্রি ধান-৯২ জাতের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কুয়াশার হাত থেকে সুরক্ষা প্রদানের জন্যে বীজতলার ট্রেগুলোকে পলিথিন আচ্ছাদিত ঘরে রাখা হয়েছে। বীজতলায় চারার জীবন চক্রের ২০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ চারা রোপণ করা যাবে।
বালুভরা এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ৫০ জন কৃষক আমাদের জমি চারা রোপণের উপযোগী করে তৈরি করছি। এ কাজ এখন প্রায় শেষের পথে।
উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ হাসান বলেন, চারা রোপণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে লাইন লোগো পদ্ধতি-যাতে করে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠে ধানের চারা, সুবিধা হয় পরিচর্যার। পরবর্তীতে পোকা মাকড়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করা হবে পার্চিং, খরচ কমাতে ব্যবহার করা হবে আধুনিক সেচের এডাব্লুডি (পর্যায়ক্রমিক শুষ্ক ও ভেজা) পদ্ধতি, সার ব্যবহার যথাযথ ও সীমিত করতে ব্যবহার করা হবে সুষম সার, অনায়াসে আগাছা নিধনে থাকবে উইডার মেশিন আর সর্বোপরি যুগপৎভাবে ধান কর্তন, মাড়াই এবং প্যাকিং কাজে ব্যবহার করা হবে কম্বাইন্ড হারভেস্টার।
সমবায়ের মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকের মেলবন্ধন তৈরিতে সমলয় কৃষি খুবই উপযোগী। এ পদ্ধতির চাষাবাদে আগাম এবং অধিক ফলন প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয় হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদদু জানান, সিংড়া উপজেলা ছাড়াও জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় সমলয় বোরো স্কীমের জন্যে সরকার বরাদ্দ প্রদান করেছে। বড়াইগ্রামেও ৫০ একরের স্কীম তৈরির প্রস্তুতি চলছে।
বাসস