ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যার’ মামলায় গ্রেফতার সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, আবদুর রাজ্জাক, গোলাম দস্তগীর গাজী, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা, আমলা, বিচারপতি ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাদের হাজিরকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শাহজাহান খান, ফারুক খান, দীপু মনি, কামরুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই ইলাহি চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত শুধু প্রসিকিউশনেই ১৩০টিরও অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে অনেক অভিযোগ।
বাসস