বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট দানব সরকারকে উৎখাত করেছে দেশের ছাত্র-জনতা। তার ফলশ্রুতি কি এই বাংলাদেশ? তিন মাসও যায়নি, রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ, হত্যা, রক্তপাত হচ্ছে, জ্বালাও পোড়াও! কেন এই ভয়াবহ হিংসা? সমস্যা কোথায়? আর কত এই বিভাজন?
বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন হোসেন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন
তিনি বলেন, তিন মাসেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এমন চেহারা নিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে উন্মাদনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য লড়াই করলাম, তা পুড়িয়ে দিচ্ছে। নিজের ঘরেই যদি বিভাজন থেকে যায় তাহলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্মাদনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ দায়িত্বশীল হয়েও উসকানি দিচ্ছে। তাদের নাম বলব না। তারা বিভাজনের পথ তৈরি করছে। তারা দেশের শত্রু না বন্ধু, তা বিচারের ভার জনগণের।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমাদের সবাইকে দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন কথা বলতে হবে। বিভাজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে না। এজন্য দেশকে ভালোবেসে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এফএনএস