ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, শেখ হাসিনা পালানোর পরে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। কিছু দিন পরে তিনি বলেন পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। তিনি কচ্ছপের মতো আচরণ করেছেন-বিপদ দেখে মাথা গুটিয়ে নিয়েছেন, বিপদ গেলে আবার মাথা বের করেছেন। সম্মানের সাথে পদত্যাগ করে চলে যান। আর তা না হলে আপনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। কারও লেজুড় হতে চাই না। বিগত সময়ে যারা ক্ষমতায় গিয়েছেন তারা ইসলামের বারোটা বাজিয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে ইসলামি রাষ্ট্রের পর্যায়ে যাওয়ার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ইসলামি দলগুলো একত্র হলে এবং একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করতে পারলে, আশা করা যায় ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে। স্বাধীনতার পর থেকে যাঁরা দেশের ক্ষমতায় বসেছেন তাঁরাই স্বৈরাচার হয়েছেন। গত দেড় দশকের এক স্বৈর-শাসকের কবল থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
নতুন বাংলাদেশে আর কেউ স্বৈর-শাসক না হতে পারে, এজন্য পিআর সিস্টেম বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। আওয়ামীলীগসহ সকল দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাঁদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। দেশের সকল দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাঁচারকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের এই শীর্ষ নেতা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, আওয়ামী স্বৈরাচার বিদায়ের পর অনেক নব্য স্বৈরাচার চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে লিপ্ত হয়েছে। তাদেরকে আওয়ামী লীগের পতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সুস্থ রাজনীতির চর্চার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা শোয়াইব হোসেন, জেলা কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাস্টার মকবুল হোসেন, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ফকির মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ কবির হোসেন বাচ্চু পাইক, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মুফতী নূরুজ্জামান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতী তরিকুল ইসলাম, যুব নেতা মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সালমান আশরাফী, যুব নেতা এইচ এম ইসমাইল হোসেন, হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান,
ছাত্র নেতা আবদুল আজিজ, হোসাইন আহমাদ, মোহাম্মাদুল্লাহ, মাহদী হাসান প্রমুখ।সমাবেশে বাগেরহাট জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এফএনএস