ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেলো পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে। প্রেমে বাধা পেয়ে পরিবারের ১৩ জনকে হত্যা করলেন এক তরুণী। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি খৈরপুরের কাছে হাইবাত খান ব্রোহি গ্রামের।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাড়িতে তা জানাজানি হতেই ঝামেলা শুরু হয়। তরুণী বাড়িতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিয়ে করলে প্রেমিককেই করবেন। কিন্তু তাঁর সেই দাবি মানতে চায়নি পরিবার। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান, পরিবারের সদস্যদের এমন ভাবে খুন করার পরিকল্পনা করেন যাতে তাঁর নাম কোনও ভাবেই না জড়ায়। এরপর সে তার প্রেমিকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বিষ খাওয়ানোর ষড়যন্ত্র করে। যার মধ্যে মেয়েটির বাবা-মাও ছিল।
খয়েরপুরের পদস্থ পুলিশ কর্তা ইনায়েত শাহ বলেছেন, “১৩ জন সদস্যের সকলেই ওই বিষ মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাউকেই বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসা চলাকালীন সকলেরই মৃত্যু হয়। সকলের দেহ ময়নাতদন্ত করে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়।”
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, ওই মেয়েটির বাড়িতে গম থেকে রুটি তৈরি করা হত। সেই গমেই বিষ মেশানো হয়েছিল । এরপরই, অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ। ইনায়েত শাহ বলেছেন, “অনেক চেষ্টা করেও, মেয়েটি তার পরিবারকে বোঝাতে পারেনি। তার পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না পরিবারটি। আর তাতেই ভয়ঙ্কর রেগে গিয়েছিল মেয়েটি। সেই রাগ থেকেই সে এটা করেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশের জেরার মুখে মেয়েটি তার প্রেমিকের সাহায্যে গমে বিষ মেশানোর কথা স্বীকারও করেছে।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া