ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নে ১৮টি রাইস মিলের চুরি হওয়া মিটার মিললো বিকাশে। উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারের রাইস মিলের মালিক ভবেশ চন্দ্র,জেবারত আলী ও মোজাম্মেল হক জানান, গত সপ্তাহে রাতের অন্ধকারে তাদের মিটারগুলো চুরি হয়। সকালে মিটারের সংযোগ তারের সাথে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুটে চুরি হওয়া মিটার নম্বর ও যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়।
পরে মিটার মালিকগণ ঐ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন । ফলে তাদের একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয় (০১৯৪০৯৭৪৮৯৭) এবং প্রতিটি মিটারের জন্য ৬ হাজার টাকা করে বিকাশ করতে বলা হয়।
ব্যবসায়ীরা পরীক্ষা মূলকভাবে প্রথমে একজন ৬ হাজার টাকা বিকাশ করেন। পরদিন সকালে মিলের পিছনে তার মিটারটি পাওয়া যায়। ফলে অন্যান্য মিল মালিকরাও বিকাশে টাকা পাঠিয়ে তাদের মিটারগুলো শুক্রবার ফিরে পয়েছেন বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় প্রশ্ন জেগেছে, চোর ব্যাটা কি তবে সাধু ?
এ ব্যাপারে পল্লি বিদ্যুত সমিতির ভাঙ্গুড়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আলহাজ উদ্দিন শেখ বলেন,অষ্টমণিষা বাজার ও আশপাশের এলাকার রাইস মিলের ১৮টি মিটার চুরি হওয়ার পর নতুন মিটার নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা নেয়নি। কারণ নতুন মিটার নিতে বেশি টাকা লাগতো।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মিটার চুরির জন্য মিল মালিকেরা মিসিং ডাইরি করলেও মামলা করতে কেউ রাজি হননি। তবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চোর সম্পর্কে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি অভিজ্ঞ মহলের মনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে- প্রথমত: এই ঘটনায় দুর্বৃত্তরা নির্বিঘ্নে অপরাধ করে পার পেল। দ্বিতীয়ত: মিটারগুলো চুরি হলো,তারপর বিকাশে পেমেন্ট হলো ! মিল মালিকেরা তা ফেরতও পেলেন ! পুরো ঘটনাই আইনের চোখে কালো কাপড় লেপে দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল যুগে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাউকে ধরতে পারলো না ? মিল মালিকরা তো সবই জানলেন ! তারা পুলিশকেও জানালেন ! তাহলে কেউ মামলা দেবে না বলে চোরের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থাও নেবে না ? এটা কারো কাম্য হতে পারেনা। ।