ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরম উপক্ষো করে ক্লাসে পাঠ গ্রহন করছে। গত রবিবার(২৮ এপ্রিল) সকাল আটটা থেকে এসব স্কুল খোলা হয়। ক্লাস চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। অনেক অভিভাবক সকালে বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে আসলেও তাপদাহে খুবই দু:শ্চিন্তায় তাদের সময় কাটে। ক্লাসরুমে ফ্যান থাকলেও গরম বাতাসে ছেলে-মেয়েদের অস্বস্তি কাটেনা।
গরমে শিক্ষকরাও অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে যেসব স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি রয়েছে। এমন একটি স্কুল- শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক হাবিবা খন্দকার বলেন,প্রচন্ড গরমেও ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি খুবই ভালো। তারা সকালেই ব্যাগ নিয়ে হাজির হয় শেণি কক্ষে। এই বিদ্যালয়ে রুম সংখ্যা কম থাকায় ফাঁকা ফাঁকা করে বসানো যায়না। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষকও কম। তদুপরি গরমে বাচ্চারা ঘেমে ভিজে যায়। এতে কেউ কেউ সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। অনুরুপ বার্তা দিয়েছেন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন,দক্ষিণ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনসমহ অনেকে ।
সরেজমিন দেখা যায়,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের কষ্ট বেশি হচ্ছে। ওদের বেশির ভাগেরই ছাতা নেই। তারপর রোদের মধ্যে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। প্রচন্ড তাপদাহে তাদের কোমলমতি টিসু পুড়ে যাবার উপক্রম হয়।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন,বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সরকারি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানগুলো ঐসব বাচ্চাদের কষ্টলাঘবে বিনামুল্যে ছাতা বিতরণ করতে পারে। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্তত: একটি কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকা প্রয়োজন। যাতে অসুস্থ শিক্ষক অথবা শিক্ষার্থীকে সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তিমুলক সেবা দেওয়া যায়।