1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২২ সময় দর্শন

বিশেষ প্রতিনিধি.ভাঙ্গুড়া:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে অনেক ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী। অপরদিকে মহাজনী কায়দায় অর্থলগ্নি করে টাকার পাহাড় গড়ছেন এক শেণির সূদের কারবারীরা। তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে সরকারি সংস্থাগুলোর কাছেও কোনো তথ্য নেই। ফলে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা নির্বিঘেœ সূদ ভিত্তিক অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানাগেছে,উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে সূদের কারবারী রয়েছে। এছাড়া কতিপয় সমিতি এসব কারবারের সাথে জড়িত বলে জানাগেছে। তারা দরিদ্র চাষী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চড়া সূদে ঋণ বা দাদন দেন। কৃষি ক্ষেত্রে এই দাদনের নাম ‘আকাশ কট’ বলে জানাগেছে। এজন্য দাদন গ্রহিতা একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন অথবা ব্যাংকের চেক বইয়ের ফাঁকা একটি পাতা প্রদান করেন। এর শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সূদে-আসলে তা আদায় করা হয়। এছাড়া কারবারীরা সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক কিস্তির মাধ্যমে সূদ আদায় করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, এক লাখ টাকার সর্বনিম্ন মাসিক সূদ ১০ হাজার টাকা। দাদন গ্রহিতারা কিছুদিন কিস্তির টাকা জমা দিলেও চড়া সূদের কারণে পরে অধিকাংশ ব্যক্তি সূদ-আসল কোনোটাই পরিশোধ করতে পারেন না। ফলে সূদে কারবারীদের চাপে জমি ও ঘরবাড়ি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতে তারা নি:স্ব হচ্ছেন।

উপজেলার ঝি:কলকতি গ্রামের রন্জু সরকার বলেন,চড়া সূদে দাদন নিয়ে গরু কেনা-বেচার ব্যবসা করে তিনি সর্বশান্ত হয়েছেন। সূদে কারবারীর টাকা পরিশোধের জন্য তিনি বাড়িটাও বিক্রি করেছেন,এখন তিনি নি:স্ব।
করতকান্দি গ্রামের দাদন গ্রহিতা শাহজাহান আলী ও আলম প্রামানিক বলেন,তারা গ্রামের সমিতি থেকে আকাশ কট নামে নেওয়া সূদ-আসলের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে স্বপরিবারে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন।

শরৎনগর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন,ব্যবসায়ীক কারণে তিনি বাধ্য হয়ে চড়া সূদে পাঁচ লাখ টাকা দাদন নেন। তিনি আরো বলেন,এই টাকার মাসিক সূদ হিসাবে এক লাখ টাকার অনেকগুলো কিন্তি প্রদান করেছেন। তবে ব্যবসায় অনুরুপ লাভ না হওয়ায় তিনি আসল টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে এখন ব্যবসায় তিনি দেউলিয়া হয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আতাউর রহমান বলেন,এ ধরণের সূদের কারবার ফৌজদারী অপরাধের শামিল। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন,কাজটি নি:সন্দেহে অবৈধ তবে তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে চড়া সূদের কারবারীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host