ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় চার মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় দুই তফশিলি ব্যাংকে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২টি। এগুলোর মধ্যে উপজেলার সোনালী ব্যাংক লি: ভাঙ্গুড়া বাজার শাখায় ১২৫টি এবং অগ্রণী ব্যাংক লি: বড়ালব্রিজ শাখায় ১৭টি স্কীম চালু হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে উপজেলার ঐ দুটি ব্যাংক পেনশন স্কিম খোলা শুরু করে।
জানাগেছে,ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায়ভুক্ত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আইন-২০২৩ করা হয়। ১৮ বছর বা তদুর্ধ বয়স হতে ৫০ বছর বয়সি সকল বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশনে অংশ নিতে পারবেন। রাষ্ট্রের তফশিলি ব্যাংকে এই পেনশন স্কিম খোলা যাবে। এতে ব্যাংকের অন্যান্য মেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্পগুলোর মতো মাসিক বা ত্রৈমাসিক অর্থ বা চাঁদা জমা দেওয়া যাবে। সাধারণত বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে প্ঞ্জুীভুত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন সুবিধা প্রদান করা হবে। স্কিমে চাঁদা প্রদানকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পেনশন তিনি এবং তার মৃত্যুর পর নমিনি পেনশন সুবিধা পাবেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়,ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অন্তত: ২৫ হাজার ব্যক্তি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হতে পারেন। বিশেষ করে রাজনীতিক,ব্যবসায়ী ও কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজিবি,এনজিও কর্মী,বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এই সুবিধা নিতে পারেন। অথচ বুধবার(২৪ এপ্রিল) রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই স্কিমের প্রতি তেমন সাড়া মেলেনি।
সোনালী ব্যাকের ম্যানেজার আব্দুল আওয়াল বলেন,এই শাখায় সুরক্ষা,প্রগতি ও সমতা স্কিমে ১২৫টি একাউন্ট ওপেন হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার কে.এম বারিউল ইসলাম বলেন,এই শাখায় সুরক্ষা প্রকল্পে ১৭টি একাউন্ট করা হয়েছে। উপজেলা ডাকঘর মাস্টার নাহিদা সুলতানা বলেন,বুধবার পর্যন্ত এখানে কেউ পেনশন স্কিমের হিসাব খুলতে আসেনি।
তারা জানান, এই স্কীমে বিভিন্ন পেশার মানুষ ও বেসরকারী চাকুরিজিবিরা সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা ও প্রগতি প্রকল্পে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকার হিসাব খুলতে পারবেন। আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর লোকেরা ৫০০টাকার সমতা হিসাব খুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের চাঁদার সাথে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কিস্তিতে আরো ৫০০টাকা জমা করা হবে বলে ঐ ব্যাংক ব্যবস্থাপকরা জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে লক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারণা চালাতে পারলে সংশ্লিষ্ট কম্যুনিটির সদস্যরা এই প্রকল্পের প্রতি আকৃষ্ট হবেন বলে সচেতন মহল আশা করেন।