ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা চলনবিলের মধ্যে হওয়ায় এখানে বন্যার পানি আগে প্রবেশ করে। এ কারণে বিল এলাকার কৃষকরা একটু আগেই জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণ করেন। মাঠ ভর্তি ফসল এখন পরিপূর্ণ রুপ নিয়েছে। গাছের শীষগুলোতে ইতোমধ্যে ভরে গেছে ধানে। অনেক স্থানে ধানে পাক ধরেছে। আর কয়েকটা দিন পরেই শুরু হবে ধান কাটা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশংকায় কৃষকরা অনেকটা উদ্বিগ্ন। তাই কতদিনে সোনার ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন সেই অপেক্ষায় তারা দিন গুনছেন।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কয়ড়া পুকুরপার গ্রামের সম্ভান্ত্র কৃষক আজিরুদ্দিন তার জমির ধানে পাক ধরেছে দেখে আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘‘আমার প্রায় এক’শ বিঘা জমির বোরো ধানে পাক ধরেছে। আর মাত্র ৮/১০ দিন পরই ধান কাটা শুরু হবে কিন্তু কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশংকায় ঘুম হচ্ছেনা”। দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন,‘‘এবার ৫০ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছি। বৃষ্টি নেই অথচ গরমের প্রখরতা বেড়ে যাওয়ায় ঝড়ের শংকায় আছি”। কৃষকদের আশা, এ বছর ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে। তাই সুষ্ঠভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তারা ব্যাপক লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন জাহান বলেন, এবছর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৬৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ব্রি-২৮ ও ২৯ ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেশি। তবে ব্রি-৮৯,৯২,কিছু হাইব্রিড ও বঙ্গবন্ধু ধান- ১০০ এর ভালো আবাদ হয়েছে। এছাড়া মওসুমের শুরুতে ৬৮০০ প্রান্তিক কৃষককে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সার ও বীজ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এজন্য চলতি বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,চলতি মওসুমের শুরুতেই প্রতিটি স্কীমের শ্যালো বা ডিপ টিউবওয়েলের মালিক ও কৃষকদের মাঝে ধানের ভাগের স্বাভাবিক বন্টন করে দেওয়ায় এবছর শান্তিপুর্ণ ভাবে তারা ধানের ভাগ করে নিতে পারবেন। তিনি আশা করেন চলতি মওসুমে আবাদ ভালো হয়েছে ,কৃষকরা সফলভাবে তাদের ক্ষেতের ফসলও ঘরে তুলতে পারবেন।