প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। তাঁকে বহনকারী বিমানটি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এদিন বিকালে হযরত নিজামউদ্দিন আওলিয়ার দরগাহ পরিদর্শন করবেন। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ব্যস্ত দিন কাটাবেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির ভবনে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে তার আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা অর্পণ করার পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন হায়দ্রাবাদ হাউজে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়াও দুই প্রধানমন্ত্রী একান্ত আলোচনা করবেন। বিকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা করবেন শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পানি ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, প্রতিরক্ষা, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত।
বিগত এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হয়েছে ও ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। শেখ হাসিনার এই সফরে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা, বোঝাপড়া ও উচ্চমাত্রার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
সুনির্দিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর বাইরে ঝুলে থাকা ইস্যুগুলো নিষ্পত্তির একটি দিকনির্দেশনা মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।