ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: সোমবার পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের হল রুমে আইন-শৃংখলার মাসিক সভায় গাঁজা ও বাল্য প্রেম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আইন-শৃংখলা অবনতির জন্য এটা এখন বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দেন। এসময় তিনি নানা ঘটনার অবতারনা করেন। তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন যে,কøাস সেভেন-এইট এর শিক্ষার্থীরা প্রেম-ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ছে। এদরে সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে মিথ্যা মামলাও বেড়েছে। ছেলের বাবা এসব ঘটনা প্রেম-ভালোবাসার বিষয় বলে দাবি করলেও মেয়ের বাবা এটাকে অপহরণ ঘটনা দাবি করে মামলা দেন। ফলে পুলিশকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।
উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার ও ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আলহাজ মো: হেদায়তুল হক অনুরুপ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
দিলপাশার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন,গ্রামে গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে অথচ তারা কিছু বলতে পারছেন না। খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান বলেন,গাঁজা মাসুদ,গাঁজা মুরাদ,গাঁজা শাকিল,গাঁজা লুৎফর প্রভৃতি যুবকের কারণে ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যায়না। তাঁরা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মু.ফয়সাল বিন আহসান বলেন,অপরিণত প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে পুলিশ খুবই বেকায়দায় পড়ছে। জেনে-শুনে মিথ্যা অভিযোগ নিতে অনেক সময় তারা বাধ্য হন। তবে গাঁজাখোরদের তথ্য পেলেই পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠাচ্ছে। এছাড়া উপজেলার আইন-শৃংখলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,যে কেউ গাঁজাসহ বিক্রেতা কিংবা সেবনকারীকে আটক করে আইন-শংখলা বাহিনীকে খবর দিলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বাল্য প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরো সতর্কতার সাথে শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো: বাকি বিল্লাহ বলেন,অল্প বয়সের বাচ্চারা ভুল করছে কিন্তু অভিভাবকরা তো সচেতন হতে পারেন ! পরিস্থিতির উন্নয়নে তিনি শিক্ষকদের শেণি কক্ষে ও ক্যাম্পাসে নজরদারীর ক্ষেত্রে আরো কঠোর হবার আহবান জানান।
ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এর সভাপতিত্বে আইন-শৃংখলার মাসিক সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,সাংবাদিক,পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যসহ প্রভৃতি ব্যক্তিরা যোগ দেন।