ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় নারী নির্যাতন বেড়েছে। বিশেষ করে কিছু গৃহবধু স্বামীর হাতে নিয়মিত মারপিট খাওয়াসহ নানাভাবে লাঞ্চিত ও বঞ্চিত হচ্ছেন। থানায় অভিযোগ করেও ন্যায় পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এসব ঘটনা অনুসন্ধান করে জানাগেছে,বেশির ভাগ নির্যাতন করা হয়েছে তুচ্ছ কারণে।
উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামের রুবেল আহমেদ দশ বছর আগে বিয়ে করেন হাওয়া খাতুনকে। এখন তাদের দুটো সন্তান। তারপরও তুচ্ছ কারণে রুবেল তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। এমন কি স্ত্রীকে জামা কাপড় পর্যন্ত কিনে দেয়না রুবেল। ফলে ছেঁড়া কাপড় পরে থাকতে হয়। ঠিকমত হাটবাজারও করেনা রুবেল। ওই অবস্থায়ই খেয়ে না খেয়ে সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম করছিলেন গৃহবধু হাওয়া।
গত ২৪ আগস্ট রাতে রুবেল বাড়ি ফিরে পচন্দমত খাবার না পেয়ে স্ত্রীকে পিটুনি শুরু করে। এর প্রতিবাদ করায় রুবেল লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকে। এসময় গৃহবধু হাওয়া খাতুনের শ^শুর নওশেদ প্রামানিক ও শ^াশুড়ি আছমা খাতুন এগিয়ে এলেও তারা পুত্র রুবেলের পক্ষ নিয়ে পুত্র বধুকে আরো ধিক্কার দেয়।
হাওয়া খাতুন বলেন,রুবেল প্রায়ই নেশা দ্রব্য সেবন করে অনেক রাতে বাড়ি ফেরে। বাচ্চারা না খেয়ে থাকলেও সে কোনো দিন খোঁজ খবর নেয়না। গত ২৫ আগস্ট বোন আয়শা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েেেছ। তারপরও স্বামী রুবেল ও শ^শুর-শ^াশুরি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন,‘‘আমি খুবই অসুস্থ,বোনের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছি”।
হাওয়া খাতুনের বোন আয়শা খাতুন বলেন,হাওয়া খাতুন অত্যাচারে অত্যাচারে মানসিক ভারসাম্যই প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন,“আমরা হতদরিদ্র হবার কারণে কারো কাছেই ন্যায় বিচার পাচ্ছিনা।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মু. উয়সাল বিন আহসান বলেন,এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছি। রিপোর্ট পেলে অগ্রগতি জানাতে পারবো।
এদিকে উপজেলার মন্ডুতোষ গ্রামের রাশিদা খাতুন নামের এক গৃহবধুকে তুচ্ছ কারণে ঘরে বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার রুপসি গ্রামে। সেখানে জোবেদা খাতুন নামের এক নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ঊঠেছে।