ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত শোকসভার মঞ্চটি গুঁড়িয়ে দিল জেলা পরিষদের প্রশাসক শামসুল হক ভোলা মাস্টার ও তার সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখার হাটে ময়েজউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কাঙ্গালি ভোজের অনুষ্ঠানের নির্মানাধীন অস্থায়ী মঞ্চটি ভেঙ্গে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাজাহান ব্যাপারী,সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম ব্যাপারী, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পলাশ ব্যাপারীসহ অন্যান্য নেতারা৷ মঞ্চ ভাঙ্গার সময় প্রতিবাদ করলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়।
খন্দকার নজরুল ইসলাম জানান , জাতীয় শোকের মাসে আমরা ২৬ তারিখে শোক সভা ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এই সময় কেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়নি এই অভিযোগ তুলে তিনি ও তার লোকজন এসে মঞ্চে ভেঙে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরও বলেন, মঞ্চ ভাঙ্গার সময় ভোলা মাস্টার উচ্চকণ্ঠে বলেন, ‘আমি এখানকার বড় আওয়ামী লীগের নেতা, তোরা কিভাবে আমার চেয়ে বড়ো নেতা হইলি, কার নির্দেশে এই আয়োজন করা হচ্ছে’।
খবর পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশের সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন কর জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় গ্রুপ উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ জানান, এটি একটি জঘন্যতম কাজ। আমরা এর কঠোর নিন্দা জানাই। বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই দলীয় সভায় আলোচনা হবে। যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর শোক সভার মঞ্চ ভাঙতে পারে তিনি অবশ্যই আওয়ামী লীগ করতে পারেন না।
জাতীয় শোক দিবসের শোক সভা ও কাঙ্গালি ভোজের মঞ্চ ভাঙ্গা প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের প্রশাসক এডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাষ্টার বলেন, যেখানে শোকসভার মঞ্চ করা হয়েছে সেখানে না করার জন্য নিষেধ করেছিলাম কারণ সেটি স্কুলের মাঠ। বাচ্চাদের খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হবে। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও আয়োজকরা আমার কথা শোনেননি। যে কারণেই তাদের সঙ্গে আমার দুর্ব্যবহার করতে হয়েছে। বিষয়টি ঠিক হয়নি।