পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মৌহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাত আলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের এসএমসি’র সভাপতিকে আড়ালে রেখে ভূতপূর্ব সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে তা নিজের ইচ্ছেমত খরচ করেছেন।
গতকাল এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি মোছাঃ ফাতিমা খাতুন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এদিকে শিক্ষক নেতার এমন নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে উপজেলার শিক্ষক সমাজের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফাতিমা খাতুন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী এসএমসি কমিটি গঠনের পরপরই নতুন সভাপতিকে ব্যাংক একাউন্টে অপারেটর নিযুক্ত করতে হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বরাত আলী তাকে বাদ দিয়ে তার পূর্বের সভাপতিরও পূর্বের সভাপতিকে অবৈধভাবে অপরেটর রেখে তার স্বাক্ষরে স্কুলের যৌথ হিসাব থেকে যাবতীয় টাকা উত্তোলন করেছেন। যা সম্পূর্ণ অন্যায়ও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ফাতিমা খাতুন আরো জানান, গত এপ্রিল মাসে কমিটি গঠনের পর আমাকে ব্যাংক হিসাবের অপারেটর নিযুক্ত করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলেছিলাম। কিন্তু চলতি মাসেও তিনি তা করেননি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বরাত আলী ব্যাংক হিসাবের অপারেটর পরিবর্তন করা হয়নি স্বীকার করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে পূর্ববর্তী সভাপতির অনাগ্রহের কারণে তার পূর্বের সভাপতির স্বাক্ষরেই ব্যাংকে লেনদেন করা হয়েছে। তবে বর্তমান সভাপতি ফাতিমা খাতুনের নিকট ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি চেয়েছি। তিনি দিলেই আমি একাউন্ট নবায়ন করবো। এছাড়া পূর্বে উত্তোলিত টাকা যথা নিয়মে খরচ করা হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধান শিক্ষক বরাত আলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।