নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘সরকার বনাম তৈমুর আলমের খেলা হয়েছে।’ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পরাজয় মেনে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে পরাজয়ের কারণ হিসেবে তৈমুর দাবি করেন, প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইভিএমে কারচুপির জন্য তার পরাজয় হয়েছে।
তিনি জানান, ‘আমি জনগণের উপস্থিতি স্বতস্ফূর্ত মনে করি। জনগণ কিন্তু ভোটটা দিতে পারেনি। অনেকে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেছে। মেশিন (ইভিএম) এতই স্লো যে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ভেতরেও ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। নয়তো এমন ডিফারেন্স হতে পারে না।’
বিজয়ী আইভী সম্পর্কে কোনো মন্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে তৈমুর বলেন, ‘তার বিষয়ে আমি আগেও কোনো মন্তব্য করিনি, এখনো কোনো মন্তব্য করবো না। এটা খেলা হয়েছে সরকার ভার্সেস তৈমুর আলম খন্দকার।’ এছাড়া তার কর্মী এবং নির্বাচনে পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এরপরেও নারায়ণগঞ্জবাসী ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে জনগণের বিজয় হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
এবারের নাসিক নির্বাচনে ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হওয়া সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লড়াইটা মূলত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এর মধ্যে। এরমধ্যে তৈমূর অবশ্য বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন আইভীর কাছে।
নাসিকে এবার ভোটার সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন; আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। ১৯২ ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৩৩টি। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন। আর নয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৪ জন প্রার্থী।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়।