পাবনা প্রতিনিধিঃ
মহান স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে উপহার হিসেবে ভারত সরকার কর্তৃক পাবনা পৌরসভাকে আইসিইউ অ্যম্বুলেন্স প্রদান করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্রি পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধানের কাছে এই জীবন রক্ষাকারী (লাইফ সাপোর্ট) অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন।
পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে ভারতের জনসাধারন ও সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বিশ^াস, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাষ্টার, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, প্রবীন রাজনীতিবিদ সুলতান আহম্মেদ বুড়ো, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুর নাহার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি তসলিম হাসান সুমনাসহ পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা ভাটিকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেন।
গেলো বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে এসে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছে ভারত সরকার। আধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি সম্বলিত নতুন এই অ্যাম্বুলেন্সটি পাবনা পৌর বাসির জরুরি চিকিৎসা সেবায় গুরুত্ব পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহকারি হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাট্রি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্ক অটুট রয়েছে। ভারত সরকার সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে থাকবে। এই করোনাকালীন সময়ে আমরা দুই দেশ এক সাথে কাজ করছি। ভারত সরকার এই দেশের স্বাস্থ্য সেবায় তার সামর্থ অনুসারে সহযোগিতা করছে। আশা করছি আমাদের এই সম্পর্ক কোন রাজনৈতিক কারনে নষ্ট হবে না।
পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান তার বক্তব্যে পৌরসভাতে এই এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের জন্য ভারত সরকার, সহকারী হাই কমিশনারসহ ভারতের সাধারন মানুষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে সহযোগিতা তা এদেশের মানুষ এখনও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। জনকল্যাণে পাবনা পৌরবাসীর কল্যাণে ভারতের উপহার এই এ্যাম্বুলেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। একইসাথে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহনের ভিত্তিতে আগামী দিনে পাবনা পৌরসভাকে অধিকতর সুন্দর করে গড়ে তোলা হবে বলে বক্তব্যে জানান পৌর মেয়র।