ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি :
বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পেয়ে যায় নতুন বই। নতুন বই হাতে পেয়ে এসব শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের মনে তৈরি হয় এক অন্যরকম আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দ থেকে এখনো বঞ্চিত হয়ে আছে একদল শিশু শিক্ষার্থী। আট দিন অতিবাহিত হলেও পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাক প্রাথমিকের ৪ হাজার ২০০ খুদে শিক্ষার্থী পায়নি নতুন বই।
আজ শনিবার উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে বই এসে না পৌঁছানোয় খালি হাতে ফিরে গেছে খুদে শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, নতুন এ বছরের প্রথম দিনে উপজেলার ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করা হয়। এদিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে সবগুলো বই বিতরণ করা হয়। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে দুটি করে বই। অন্যদিকে, প্রাক প্রাথমিকের ৪ হাজার ২শ শিক্ষার্থীরা সিলেবাস অনুযায়ী একটি বই ও একটি অনুশীলন খাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু বছরের প্রথম দিনে অনুশীলন খাতা পেলেও নতুন বইয়ের গন্ধ এখনো পায়নি এ সকল খুদে শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ শনিবার নতুন বই নিতে বিদ্যালয়ে আসে প্রাক-প্রাথমিকের শিশু শিক্ষার্থীরা।
এ সময় স্কুলে এখনো বই আসেনি বলে তাদের জানিয়েছে শিক্ষকেরা। ফলে প্রথম দিনের মতো আজও মন খারাপ করে খালি হাতে ফিরতে হয় ওদের। এ বিষয়ে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পরমান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ে বই এসে না পৌঁছানোয় প্রাক-প্রাথমিকের খুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা যায়নি। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবগুলো বই পেয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে দুইটি করে বই বিতরণ করা হয়েছে।’
উপজেলার অষ্টমনীষা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন্নাহার বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের নতুন বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারিনি। তবে ওদেরকে অনুশীলন খাতা দেওয়া হয়েছে।’ এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বই এসে না পৌঁছানোয় প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবগুলো বই না পাওয়ায় বিতরণ করা যায়নি। আশা করি খুব কম সময়ের মধ্যে বইগুলো পেয়ে যাব।’