ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার ফরিদ পুরে সুতি জাল,বাশ ও বাশের চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে ঘেচুয়া বিলের পাশি নিষ্কানের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘেচুয়া স্লুইচ গেট এলাকায় এমন কাজ চলছে। এতে এই বিলের অন্তর্গত প্রায় হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান কাটা ও মৌসুমী ফসল চাষবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । ফলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনতার একাংশ বিক্ষোভ করেছেন। স্থানীয়দের দাবী অতিদ্রুত ঐ স্থানের সুতী জাল বাঁশ ও বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া সড়িয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ সুগাম করা হোক।
সরেজমিন, শুক্রবার(৫নভেম্বর) ফরিদপুর ইউনিয়নের ঘেচুয়া স্লুইচ গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘেচুয়া বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ একমাত্র জোলার ঘেচুয়া স্লুইচগেট এর উজানে পরপর দুইটি সুতি জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। এক্ষেত্রে তারা বিলের পানি নিষ্কাশের বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। যার ফলে এই বিলের পানি স্বাভিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না। ফলে বন্যার পানি নেমে গেলেও এই বিলের অন্তর্গত হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার বর্ষা মৌসুমের ধান পরি পক্ক হলেও কৃষকরা তা কাটতে পারছেন না। পাশাপাশি ওই বিলের জমিতে বর্ষা পরবর্তী ফসল চাষে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সুতি জাল ও বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া অপসারণের দাবীতে স্থানীয় জনতা ঘেচুয়া স্লুইচগেট এলাকায় বিক্ষোভ করছে।
জানা গেছে,চাটমোহর উপজেলার বিল রুহুল ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর উপজেলার বড়বিলা ও ফরিদপুর উপজেলার খাগড়বাড়িয়া এলাকার ঘেচুয়া বিলের পানি এই জোলা দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু এই স্লুইচগেটের পাহারাদার গাজিউর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোড়ের অফিস সহকারি মোশারফ হোসেন এর যোগসাজসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সরকারকে নাম মাত্র টাকা দিয়ে ইজারা নেন। কিন্তু এই ইজারাতে কতিপয় স্বার্থন্বেষী ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ হলে হাজার হাজার কৃষকের আবাদি জমির ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এখানকার সুতি জাল, বাঁশ ও বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া অতিদ্রুত সড়িয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম করার দাবী স্থানীয়দের।
ঘটনার বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, বিলের পানি স্বাভাবিক প্রবাহের পথে কেউ বাধ বা পানি আটকে কৃষি জমির চাষাবাদে বাধাগ্রস্থ করতে পারবেন না। যদি কেউ করে তাহলে তা সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, ঘেচুয়া স্লুইচগেট এলাকায় একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সুতি জাল অপসারণ করা হয়েছিল। আবারো অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঘটনার বিষয়ে ফরিদপুর ইউএনও মোসাঃ জেসমিন আরাকে তাঁর অফিসিয়াল নম্বরে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।