শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় পশু-পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মাঠে ভাঙ্গুড়ায় ভুমি অফিসের অনলাইন কার্যক্রমে হযরানি কমেছে,নামজারি নিষ্পত্তি তরান্বিত ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে ইউএনও ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্রীড়া শিক্ষকের বাড়ি ভষ্মিভুত! ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি ভাঙ্গুড়ায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ক্লাস করছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ! অস্বস্তিতে ছাত্র-শিক্ষক প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের

ডিমের খোসা দিয়ে সার তৈরির পদ্ধতি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১
  • ১১৮ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post
ডিমের খোসা দিয়ে সার তৈরির পদ্ধতি

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

আমরা ডিমের খোসা অপ্রয়োজনীয় মনে করে ফেলে দেই। কিন্তু এই ডিমের খোসা দিয়ে জৈব সার তৈরি করতে পারলে তা হতে পারে উৎকৃষ্টমানের সার। এজন্য সার তৈরির পদ্ধতি জেনে নিতে হবে। গাছের ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস-এর চাহিদা পূরণ করে ডিমের খোসা। ডিমের খোসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম।

গাছের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাওয়া যায় এই উপকরণ থেকে। এ ছাড়া ডিমের খোসায় আছে আয়রন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফ্লোরিন, ক্রোমিয়াম ও মলিবডেনাম। ক্যালসিয়ামের অভাবে ফুল, কাণ্ড ও শিকড়ের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর অভাবে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিকৃতি, পাতা ও ফলে কালো দাগ দেখা দেয়। পাতার ধার ঘেঁষে হলুদ রং দেখা দেয়।

এবার জেনে নিন ডিমের খোসা দিয়ে কম্পোস্ট সার বা জৈব সার তৈরি করার পদ্ধতি,- প্রথমেই ডিমের খোসাকে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে ডিমের খোসা সংগ্রহ করতে হবে, সংগ্রহকৃত ডিমের খোসা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো ডিমের খোসাগুলকে গুঁড়ো করে পাউডারে রূপান্তর করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্লেন্ডার, মিক্সচার ব্যবহার করা যেতে পারে বা পাটায় পিশেও তৈরি করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে খোসাগুলো যেন ভালোভাবে মিহি হয়, দানা দানা যেন না থেকে যায়। বড় দানার চেয়ে পাউডার দ্রুত মাটির সাথে মিশতে পারে, ফলে সহজেই তার মিনারেলসগুলো গাছের গ্রহণ উপযোগী হয়ে উঠে।

দানা দানা থেকে গেলে এগুলো ব্যবহারে বা গাছে প্রয়োগের পর তা মাটির সাথে মিশতে অনেক সময় লাগে, পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই এমন পাউডার তৈরি করতে হবে যাতে পিঁপড়ে বা পোকামাকড় তাতে আক্রমণ করে সেগুলোকে বহন করে নিয়ে যেতে না পারে। ডিমের খোসা থেকে তৈরিকৃত সার যেকোনো ধরনের গাছে ব্যবহার করা যায়। গাছে বা টবে ডিমের খোসার প্রয়োগের পরিমাণ জেনে নিন,- ৮ ইঞ্চি টবে ১ টেবিল চামচ ১০ ইঞ্চি টবে ১ টেবিল চামচ ১২ ইঞ্চি টবে ১.৫ টেবিল চামচ ডিমের খোসার গুঁড়া পানি দিয়ে পাতলা করে গাছের নিচে ব্যবহার করতে পারি।

এই সার টমেটো এবং বেগুনের মতো শাক-সবজি পানিজনিত রোগ এবং পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করা- এরমতো রোগের চিকিৎসা করতে কার্যকর। এছাড়া এই কম্পোস্ট গোলাপ গাছে প্রয়োগ করলে ফুল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গাছ বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। টবে মাটির মিশ্রণ প্রস্তুত করার সময় ১-৪ ডিমের খোসার চূর্ণ দিয়ে একটি গাছ লাগানো যেতে পারে। টবের মাটিতে ডিমের খোসার সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে টবের মাটিকে নিড়ানি দিয়ে বা খুঁচিয়ে আলগা করে দিতে হবে। তারপর পরিমাণমতো ডিমের খোসার সার টবের চারিদিকে খুঁচানো মাটির উপর ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। এগ শেল বা ডিমের খোসা সিদ্ধ পানি গাছের দ্রুত বর্ধনশীলতার জন্য পৃথিবীর অন্যতম এক সার।

এক লিটার পানিতে ৫টি ডিমের খোসা সিদ্ধ করুন। এই পানি উষ্ণ আবহাওয়ায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রাখুন। পরের দিন মিশ্রণটি মাটিতে প্রয়োগ করুন অথবা গাছে স্প্রে করতে পারেন। এতে আরও বেশি ফল পাওয়া যায়। যদি ফুলের গাছ হয় তবে এর প্রয়োগে আরও বেশি ফুল পাবেন। ডিমের খোসার সার প্রয়োগের ফলে মাটিতে পিঁপড়ে ও পোকামাকড় আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই খোসার সারের সাথে নিম বা খৈলের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রয়োগ করুন যাতে ক্ষতিকর কীট পতঙ্গের আক্রমণ থেকে রক্ষা হয়। একটি মিক্সারে দুটি ডিম, একটি কলার খোসা এবং তিন চা চামচ চা বর্জ্য মিশ্রিত করুন।

এই মিশ্রণটি বেশি ফলনের জন্য উদ্ভিদে প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে এটি করতে পারেন। কোনো সার প্রয়োগের আগে মাটিকে আর্দ্র রাখা উচিত।

মনে রাখবেন, সান্ধ্যকালীন সময় সার প্রয়োগের জন্য সেরা সময়। ডিমের খোসা মিহি গুঁড়ো করে গাছে প্রয়োগ করুন। এতে শামুক, পোকামাকড় এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ থেকে উদ্ভিদ সুরক্ষিত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd