অনলাইন ডেস্কঃ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে চট্টগ্রামে যে স্মৃতি জাদুঘর রয়েছে, তার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে মতবিনিময় সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এতথ্য জানান।
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী, জানতে চাইলে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কারা স্মৃতি জাদুঘর করেছে, কী প্রেক্ষাপটে করেছে সেটা মহান সংসদে আলোচনা হয়েছে। মাননীয় সদস্যরা সবাই সোচ্চার ছিলেন। বিশেষ করে তিনবারের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন, তিনিও বলেছেন। উনার কিছু প্রস্তাবনাও আছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেহেতু সার্কিট হাউজ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। কোন কর্তৃপক্ষ এটা করেছে, তার বৈধ কোনো কাগজপত্র আমরা দেখি নাই। আমরা চেষ্টা করেছি পাওয়ার জন্য। কীভাবে হয়েছে জানি না। যাই হোক সেটা (পুরাতন সার্কিট হাউজ) কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় এই চট্টগ্রামবাসীর জন্য উন্মুক্ত করা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করেই ভবিষ্যতে একটা ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউজে জিয়ার নামে চলা যাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে। সে ভবনকে পুনরায় সার্কিট হাউজে পরিণত করা হবে।’
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর মোশতাক-জিয়ার সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের দামি কল-কারখানাগুলো পানির দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়, মূল্যবান সম্পদ বেহাত হয়ে যায়। এখনও উল্লেখযোগ্য সম্পদ ট্রাস্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আছে, যার মধ্যে কিছু চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি জায়গায় ছোট ছোট স্থাপনা করে কিছু দখলের চেষ্টা করেছে। উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চট্টগ্রামস্থ সম্পত্তি সংক্রান্ত এই মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদ শাজাহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খাজা মিয়া, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফরিদা খানম সাকী ও নাহিদ ইজহার খান, ট্রাস্টের এমডি এস এম মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান প্রমুখ।