বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনকে উপলক্ষ্যে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী পরপর তিনবারের পারভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম মধু দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশা করে নিয়মিতভাবে উঠান বৈঠক ও পথ সভা করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিতকায় গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে পথসভায় যোগ দেন।
নির্বাচনী এই পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. আবু সাঈদ।
৬৮ বছর বয়সী মো. জাহাঙ্গীর আলম মধূ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের পরপর তিনবারের নির্বাচিত চোয়ারম্যান ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পারভাঙ্গুড়া ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে আগামী পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে তার কার্য্যকলাপ কেমন হবে তার রুপ রেখা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে দেশ পরিচালনা করে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সাথে চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুরের গণমানুষের নেতা সুখদুঃখের সাথী ও আত্মত্যাগি বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন এমপি মাদক,সন্ত্রাসমুক্ত পাবনা- ৩ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে অপহরণ,ছিতাই ও গরুচুরিসহ যে কোনো ধরণের অপরাধ কঠোরহস্তে দমন করা হবে। অধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা চালু করা হবে। সুশাষন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে, যৌতুক মুক্ত সমাজ গড়া ও মাদক বিরোধী সামাজিক অন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ কল্পে সামাজিক অনুশাসন গড়ে তোলা হবে।অসহায় মানুষের অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হবে। কর্মহীন মানুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক খেলার মাঠ নির্মাণ করা হবে এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, দুর্ঘটনা ও বাল্যবিবাহ রোধে জনসচেতনা সৃষ্টিকরা ও বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা। এক্ষেত্রে অতীততের ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে তিনি জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক লিটন আহম্মেদ, দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাহেব আলী ও স্থানীয় বাসিন্দা আফছার আলীসহ গ্রাম্য প্রধান বর্গ।