রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দীর্ঘ প্রত্যাশিত- ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়কে পাকাকরণের কাজ শুরু ! রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে ভাঙ্গুড়ায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানে লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু  ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয় নতুন প্রশাসনিক ভবনে স্থানান্তর এমআইটিতে পড়তে চায় নিঝুম,অর্পি-আলফির স্বপ্ন চিকিৎসক ভাঙ্গুড়ায় কৃষি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন ! ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড ‘‘তুমি এসেছিলে বলে হেসেছিল স্বাধীনতা, হেসেছিল বাংলা’’ দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে-ড. নাহিদ হুসেইন ভাঙ্গুড়ায় ৮ মহিলা সমিতির সাফল্যে নিয়ন্ত্রণ ছাড়লো সিসিডিবি! ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ওষুধ মজুতের অপরাধে মাধুর্য মেডিসিনকে জরিমানা: বিপুল পরিমান ওষুধ নষ্ট করা হয় ভাঙ্গুড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত  সাংবাদিক মানিকের জটিল অস্ত্রপচার! 

বিএনপি নেতার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সমালোচনার ঝড়

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৫৬ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post
বিএনপি নেতার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সমালোচনার ঝড়

পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনায় বিএনপি নেতার ছেলেকে ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করেছে জেলা ছাত্রলীগ। সম্মেলন ছাড়াই ত্যাগী কর্মীদের বঞ্চিত করে বিএনপি পরিবারের সন্তানকে ছাত্রলীগের সম্পাদক করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিনিময়ে কমিটি বানিজ্যের অভিযোগ তুলে নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমেও।

বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, কোন ধরণের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সোহেল রানাকে সভাপতি ও জাহিদ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা ছাত্রলীগ। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী ও সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের সাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠন গতিশীল করার স্বার্থে নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে, নব নির্বাচিত ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক উভয়ই বিএনপি পরিবারের বলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলা ছাত্রলীগ তাদের মনোনীত করে বিতর্কিত কমিটি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির ফয়সাল জানান, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোহেল রানা ও জাহিদ হাসানকে সভাপতি সম্পাদক মনোনীত করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সোহেল রানার চাচাত ভাই উপজেলা শ্রমিক দলের বর্তমান কমিটির আহŸায়ক এবং জাহিদ হাসানের বাবা মৃত আব্দুল হামিদ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি, বনওয়ারী নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন, ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবদলের আহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাহিদ ছাত্রলীগের কোন ইউনিটের সদস্যও ছিলোনা। ত্যাগী কর্মীদের কোন সুযোগ না দিয়ে জেলা ছাত্রলীগ অর্থের বিনিময়ে বিএনপি পরিবারের সন্তানদের কাছে কমিটি বিক্রি করেছে। আমরা এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল চাই।

ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বকুল, মৃত আব্দুল হামিদের বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার মৃত্যুতে উপজেলা বিএনপি শোকসভাও করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঞ্চিত এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, কমিটি দেয়ার নাম করে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব বিশ^াসের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে টাকা নিয়েছেন। এখন শুনছি সব প্রার্থীদের কাছ থেকেই তারা টাকা নিয়ে কমিটি বানিজ্য করেছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগ পরিবারের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে চিহ্নিত বিএনপি পরিবার থেকে সভাপতি সম্পাদক মনোনীত করেছেন। আমরা এ ঘটনায় লজ্জিত, বিব্রত। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতৃত্বের মূল্যায়ন চাই।

এদিকে, বিএনপি পরিবারের সন্তানদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতারা। জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ও ফরিদপুর পৌর মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের বার বার বলেছিলাম সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে। তারা তা না শুনে বিএনপি পরিবারের অছাত্র ব্যবসায়ীদের সভাপতি সম্পাদক বানিয়েছে। কমিটি বানিজ্য করতেই প্রেস রিলিজ নির্ভর কমিটি দেয়া হচ্ছে। এটি আওয়ামীলীগের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত।

তবে, অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। সদ্য মনোনীত নেতারা বিএনপি পরিবারের নয় বলেও দাবী করেছেন তারা। জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী বলেন, কমিটি গঠনে কোন প্রকার টাকার লেনদেন হয়নি। কে কোথায় টাকা নিয়েছে আমার জানা নেই। পদ না পেয়ে অনেকে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। উপজেলা সভাপতি মনোনয়ন পাওয়া সোহেল রানা এর আগেও ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। জাহিদ হাসানকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশে পদ দেয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, সদ্য মনোনীত নেতারা বিএনপি পরিবারের নয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগের মতামতের ভিত্তিতেই তাদের পদ দেয়া হয়েছে। অর্থ নেয়ার প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd