বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত  সাংবাদিক মানিকের জটিল অস্ত্রপচার!  ভাঙ্গুড়ায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ডিজি’র প্রকল্প পরিদর্শন ভাঙ্গুড়ায় পশু-পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মাঠে ভাঙ্গুড়ায় ভুমি অফিসের অনলাইন কার্যক্রমে হযরানি কমেছে,নামজারি নিষ্পত্তি তরান্বিত ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে ইউএনও ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্রীড়া শিক্ষকের বাড়ি ভষ্মিভুত! ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি ভাঙ্গুড়ায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ক্লাস করছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ! অস্বস্তিতে ছাত্র-শিক্ষক প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী

ট্রেন থেকে পড়ে ৯ মাস হাসপাতালে, খোঁজ মেলেনি পরিবারের

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১
  • ৮৬ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের এক কোনায় একটি বিছানায় গত ৯ মাস ধরে শুয়ে আছে অজ্ঞাত পরিচয় এক শিশু। তার আনুমানিক বয়স ১১ বছর। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ করেনি কেউ। শিশুটি হাটতে ও কথা বলতে পারে না। নাম না জানা এই শিশুকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করছেন হাসপাতালের পরিছন্নতাকর্মী উজ্জ্বল মিয়া। শিশুটির নাম দিয়েছেন শরিফ মিয়া।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি জেলার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় শিশুটি। পরে সদর ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ২৫ দিন শিশুটি কোমায় ছিল। তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে সে। গত ৯ মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে শিশুটি। এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি শিশুটির পরিবারের।

জানা যায়, হাসপাতালে আনার পর থেকে শিশুটির সেবাযত্ন করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী উজ্জ্বল মিয়া। প্রথম দিকে শিশুটি খাবার খেতে পারতো না। এসময় তাকে বিভিন্ন ফলের রস সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়াতেন তিনি। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে শিশুটি। বিছানা থেকে উঠে বসতে না পারলেও, মুখে কথা বলার চেষ্টা করে। খেতে পারে ভাত ও ফলমূল।

পরিছন্নতা কর্মী উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘শিশুটিকে নিজের সন্তানের চেয়ে বেশি সেবাযত্ন করছি। প্রতিদিন তার মলমূত্র পরিষ্কার, গোসল করানো, তেল মালিশ করাসহ সব ধরনের সেবাযত্ন করতে হয়। নাম না জানায় শরিফ মিয়া বলে ডাকি। মাঝে মাঝে মানুষ আসে শিশুটিকে দেখতে। তখন অনেকেই কিছু টাকা দিয়ে যান। না হলে নিজের টাকা দিয়ে শিশুটির তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিজেরও তো সন্তান আছে। তাদের পাশাপাশি এই শিশুটিকে লালন পালন করছি। জানি না এই ভাবে কতদিন চালিয়ে যেতে পারবো। সে কার সন্তান তা আমি জানি না। তার প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। আমি এর মাঝে লাভক্ষতি খুঁজি না। কিন্তু এখন যখন সে হাসি দেয় আমার বুক আনন্দে ভরে উঠে।’

শিশুটির চিকিৎসায় দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসপাতালের সার্জারি চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। দিনে দিনে তার শারীরিক অবস্থা আরও উন্নতির দিকে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান জানান, তিনি সম্প্রতি এই থানায় যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের পর কেউ ছেলেটির খোঁজ করেনি। ছেলেটির পরিবারের সন্ধান পেতে তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানান।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd