1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন, প্রকাশ হতে পারে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক মিশনে আওয়ামীদের হামলা, ব্যবস্থা নিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবলে ঈশ্বরদী চ্যাম্পিয়ন আসন বিন্যাস চায় পাবনা, আগের আসন পুনর্বহাল চায় সিরাজগঞ্জবাসী আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা চাটমোহরে বিষধর সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু ফজলুর রহমানের দলীয় পদ স্থগিত করল বিএনপি চাটমোহরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান: নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা ডাকসু নির্বাচনে প্রচার শুরু, কড়া নজরদারিতে আচরণবিধি কারাগারের নতুন নাম ‘কারেকশন সার্ভিস বাংলাদেশ’, হচ্ছে ব্যাপক সংস্কার

চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা : প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৫ সময় দর্শন
চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা : প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি /

কুড়িগ্রামের উলিপুরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মফিদুর রহমান আমিন মুকুল (৫৫) নামে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪টি পৃথক প্রতারণার মামলায় ৬ বছর সাজা হয়েছে।

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার আরও একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ওই প্রধান শিক্ষককে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুর রহমান আমিন মুকুল তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪০ লাখ টাকা নেন। গ্রহণকৃত টাকার বিপরীতে প্রমাণ হিসেবে ওই প্রধান শিক্ষক তার স্বাক্ষরকৃত ফাঁকা চেক প্রদান করেন।

পরবর্তীতে তাদের চাকরি না হওয়ায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার শ্যামলী মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী মজনু মিয়াসহ অনেকে জানান, ওই প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নেন। ২০১৫ সালে মজনুর কাছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে চাকরি এবং টাকা ফেরত না পেয়ে আদালতে মামলা করেন। তার মামলায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

এছাড়া চাকরি দেওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে ৮ লাখ টাকা, তার ছোটভাই আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে ১০ লাখ, এনামুল ইসলামের কাছে ৪ লাখ ও তৌহিদ মিয়ার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এভাবে তিনি ৪০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।

এদিকে ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীর, আলমগীর, এনামুল ও তৌহিদের পৃথকভাবে করা চেক ডিজঅনারের মামলায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে ও ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পৃথকভাবে ওই প্রধান শিক্ষকের ৬ বছরের সাজা হয়।

উলিপুর থানা চত্বরে ওই প্রধান শিক্ষকের মেয়ে মুশরা আমিন (১৯) সাংবাদিকদের কাছে বলেন, তার বাবার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। তার অভিযোগ, সংসারের অভাব অনটনের জন্য জনৈক দাদন ব্যবসায়ী ফজলুল হকের কাছে স্বাক্ষরকৃত ফাঁকা চেক বই বাবা বন্ধক রাখেন। প্রতি মাসে ওই দাদন ব্যবসায়ী ১০ হাজার টাকা করে নিতেন। ওই দাদন ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনের কাছে চেকের পাতা বিক্রি করেন। তারাই পরবর্তীতে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নুর কাশেম আমিন বলেন, তিনি মাত্র ৬ মাস হয় সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। ঘটনাগুলো পূর্বের সভাপতির সময়ের। তবে যতটুকু শুনেছি, যারা মামলা করেছেন তাদের বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিল হয়নি। আর যত টাকার কথা শুনতেছি, এত  টাকার বিষয়টি সত্য নয়। প্রধান শিক্ষক যেখানে চেক বন্ধক রেখেছিলেন, সেখান থেকে চেক কিনে নিয়ে ইচ্ছামতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে মামলা করেছে বলে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন।

উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, দেড় বছর ধরে পলাতক ৪টি মামলায় সাজা ও ১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host