পাবনার ঈশ্বরদীতে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যান (করিমন) চালক আবু বকর সিদ্দিক হত্যা মামলায় ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর ২ আসামিকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে মামলায় এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-রব্বেল (৪০) ও রুবেল (৩০)। কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-রফিকুল (৪৫) ও শিপন ( ৩৮)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সামাদ খান রতন জানান, ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল বিকেলে ঈশ্বরদীতে ভ্যান ভাড়া নেওয়ার কথা বলে আবু বকরকে ফোনে ডেকে নেয় আসামিরা। এসময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাচীর সংলগ্ন ঝোপ থেকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করে আবু বকরের পরিবার। পুলিশ মামলার তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে রব্বেল, রুবেল, শিপন ও রফিকুল শিপনকে আটক করে।
পুলিশের জেরার একপর্যায়ে রব্বেল ও রুবেল আবু বকরকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে। রফিকুল ও শিপনের নিকট থেকে ছিনতাই হওয়া করিমন উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার অপর আসামি রাব্বির হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সামাদ খান রতন ও আসামি পক্ষে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ রেন্টু।