প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সরকারের তৈরি ডিজিটাল অবকাঠামো এবং পূর্ব প্রস্তুতির জন্য সরকার ও দেশের অর্থনীতিতে কোভিড-এর প্রভাব সেভাবে পড়েনি। বিশ্বের অনেক দেশের সরকারি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে অনলাইন মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে ‘ব্লেজ’ সেবা চালুর উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি স্কুল-কলেজে ডিজিটাল ল্যাব চালু করেছি। প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং করার ব্যবস্থা করেছি। ফলে আমাদের সরকারে, অর্থনীতিতে কোভিড-এর প্রভাব সেভাবে পড়েনি। কারণ আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। অথচ বিশ্বের অনেক দেশের সরকার অর্থনৈতিক কাজে বাধা পেয়েছিল।
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশকে উন্নত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে হচ্ছে দেশের জনগণের জীবনযাত্রাকে সহজ করা। আমরা আজ কাজ করছি ভবিষ্যতের জন্য। আজ থেকে ১০ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা আমরা ভাবছি। এটাই আওয়ামী লীগের ভিশন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন।
‘ব্লেজ’ সেবা ভবিষ্যতের ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ এর একটি অংশ দাবি করে জয় বলেন, আমরা চলে যাবো ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে। ব্লেজ সেই ক্যাশলেস সোসাইটির একটি অংশ। প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর একটি অংশ। আজ বিদেশ থেকে কেউ টাকা পাঠালে সেটা দেশের ব্যাংকে পৌঁছাতে ৫-৬ দিন লেগে যায়। সেই টাকা আবার সপ্তাহের পাঁচ দিনের মধ্যে ৯-৫টার মধ্যে ব্যাংকে গিয়ে তুলতে হয়। কিন্তু ব্লেজ এ এটা খুব দ্রুত হবে, মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে।
প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার জন্য সোনালী ব্যাংক, হোম পে এবং আইটিসিএল এর যৌথ উদ্যোগে চালু হয় ‘ব্লেজ’। এই সেবার মাধ্যমে মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে দিনরাত ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময় বিদেশ থেকে রেমিট্যান্সে দেশে থাকা গ্রাহকের সোনালী ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
ব্লেজ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী।