বাংলাদেশ ফুটবল দলকে আরও একবার ধাক্কা খেতে হলো করোনাভাইরাসে।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আর ৪ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গত মার্চ ও জুন মাসে এ ম্যাচগুলো খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। কিন্তু তখন করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করায় খেলার সূচি পেছাতে বাধ্য হয়েছিল এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এএফসি)। অক্টোবর ও নভেম্বরে বাংলাদেশকে ম্যাচগুলো খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দ্বিতীয় পর্বের এই চারটি ম্যাচ সামনে রেখে কিছুদিন আগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে ফুটবল দল। কিন্তু ফিফার সঙ্গে আলোচনা করে এএফসি আবারও পিছিয়েছে ম্যাচগুলোর সূচি। আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে এ চারটি ম্যাচ।
এএফসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাস পরিস্থিতি লক্ষ্য করে কাতার বিশ্বকাপ ও চীনে এশিয়ান কাপের জন্য নির্ধারিত ম্যাচের সূচি পাল্টে ২০২১ সালে নেওয়া হয়েছে। ফিফা ও এএফসি যুগ্মভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে আন্তর্জাতিক সূচিতে ম্যাচগুলো খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে আগামী বছর এ চারটি ম্যাচ কবে, কোথায় ও কখন অনুষ্ঠিত হবে এএফসি তা এখনো নিশ্চিত করেনি।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ফিফা ও এএফসি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর জন্য দিন তারিখ ঠিক করবে। সময় হলেই বাছাইপর্বের এ ম্যাচগুলোর সময়সূচি জানানো হবে।’ ৮ অক্টোবর দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে স্থগিত হয়ে থাকা বাছাইপর্ব শুরু করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। আফগানিস্তান ছাড়াও দেশের মাটিতে ভারত (১২ নভেম্বর) ও ওমানের (১৭ নভেম্বর) বিপক্ষে খেলার কথা ছিল। অন্য ম্যাচটি কাতারের বিপক্ষে দোহায় ১৩ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। ৪ ম্যাচ খেলে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে আছে বাংলাদেশ।
জাতীয় দলের ক্যাম্পে এই মুহূর্তে করোনা-ঝড় চলছে। অনুশীলন ক্যাম্পে প্রথম দিন ১২ জনের মধ্যে ১১ ও পরের দিন ১২ জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ জন। সব মিলিয়ে ক্যাম্পে ৩০ ফুটবলারের মধ্যে করোনায় আক্রান্তসংখ্যা ১৮। ম্যাচ যেহেতু পিছিয়েছে, করোনাবিপর্যয় সামলে দলকে সাজিয়ে নিতে জেমি ডের হাতে অনেক সময়ই থাকছে।