তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত কানাডার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র দাবদাহে এ পর্যন্ত ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় শুধু ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশেই এতসংখ্যক মানুষ গরমে প্রাণ হারাল। প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রা।
এমন পরিস্থিতিকে ‘নজিরবিহীন সময়’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন প্রাদেশিক প্রধান। দেশটিতে এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দাবদাহে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙা খেলা চলছে। এতে শিশু থেকে বৃদ্ধরা দীর্ঘস্থায়ী জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসন বলছে, ভ্যাঙ্কুভার এবং পাশের এলাকা বার্নাবে ও সারে-রেতে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। ভ্যাঙ্কুভারে শনিবার ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকলে সোমবার তা ১০০ ছাড়ায়। এদিকে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ তাদের এখানে সোমবার থেকে ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
আর বার্নাবেতে ৩৪ জন। মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লিটন গ্রামে। ওই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ ১২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
আপাতত তাপমাত্রা কমার লক্ষণ না থাকায় সাধারণ মানুষকে সাবধানে চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে পরিমাণ মতো পানি পানের কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সবাই প্রতিবেশীদের দিকে খেয়াল রাখুন, পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখুন। বয়োজ্যেষ্ঠদের যাদের চেনেন, তাদের খোঁজ নিন। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, তাদের জন্য এই আবহাওয়া ভয়ানক। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে।