প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশব্যাপী চলছে সরকারঘোষিত বিধি-নিষেধ। সেই সঙ্গে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি জেলায় চলছে বিশেষ লকডাউন। তারপরও দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। এর জন্য মানুষের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে না সচেতনতা না থাকায় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অনেকে। গত কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দেশে ৬ হাজার ৫৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। এ অবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, “সরকারের প্রস্তুতি আছে, যেকোনও সময় কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।” তিনি বলেন, “সরকার করোনা পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনও সময় যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একই দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছি।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা তাদের সুপারিশ অ্যাকটিভ কনসিডারেশনে (সক্রিয় বিবেচনা) নেব। এটি কমানোর জন্য যা করা প্রয়োজন হবে আমরা তা-ই করব।” তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা করছি। স্থানীয়ভাবে বিধি-নিষেধ দিয়ে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেটা প্রয়োজন হবে সেটাই আমরা করব।”
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “যেহেতু সংক্রমণটা ঊর্ধ্বমুখী, দৈনিক সংক্রমণ ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকার পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যা উপযুক্ত হবে, সেই সিদ্ধান্তই আমরা নেব। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে কোনও সময় আমরা যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”