স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও দেশে চলে এসেছে। করোনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের পাশাপাশি এখন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে খুব বেশি ভয়ের কারণ নেই। কারণ এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি দেশে ছড়িয়ে পড়েনি।
মন্ত্রী বলেন, আগাম সতর্কতা হিসেবে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রতিষেধক ওষুধ উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এই রোগের উপযুক্ত চিকিৎসায় করণীয় কী হবে, সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকাদানের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়ন করছে, প্রথম অবস্থায় তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কারণ এই মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কোভিড রোগীদের সঙ্গে কাজ করছে এবং আগামী দিনেও করবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের আগে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে।
দেশেই টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু করা হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশেই টিকা উৎপাদনে নির্দেশ দিয়েছেন। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। ওষুধ উৎপাদনের মতো শিগগির দেশে টিকা উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে। ওষুধের মতো দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই টিকা আগামী দিনে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
টিকা আমদানিতে চীন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। একই সঙ্গে আমেরিকা, যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও আলোচনা এগিয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে টিকাপ্রাপ্তিতে আগামী দিনে কোনো সমস্যা থাকবে না।
প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিকেল কলেজে মোট ১৫৭ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী টিকা নেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রথম এটি নেবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমোতাসহ ৬ শিক্ষার্থী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এবং স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ।