1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

অর্থ ছাড়ে উদার হচ্ছে সরকার

নিজস্ব  প্রতিবেদকঃ
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ২২৩ সময় দর্শন

করোনাকালীন সময়ে বাজেটের অর্থছাড়ে উদার হচ্ছে সরকার। এরই আলোকে পরিচালন বাজেটের আওতায় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থছাড়ের পদ্ধতি সহজ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর বরাদ্দকৃত অর্থের চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড় করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্মতি নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত কর্তৃত্ব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে পরিচালন বাজেটের আওতায় সাহায্য মঞ্জুরি হিসেবে প্রদত্ত বরাদ্দের চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের / প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না। উক্ত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাড় হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং স্বায়ত্তশাসিত /বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি ব্যবহার করতে পারবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিপত্রের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা গতকাল এই প্রতিবেদককে বলেছেন, যেকোনো স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পরিচালন ব্যয়ের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় করার পূর্বে অর্থ বিভাগ ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানিক মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু বর্তমান করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। সর্বাত্মক এই লকডাউনে অফিস, আদালত, পরিবহনসহ সব কিছু বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় করার জন্য স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের সশরীরে এসে অর্থ ছাড় করার কোনো সুযোগ নেই। তাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য পরিচালন ব্যয়ের চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে সম্মতি নেয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা এবার তুলে নেয়া হয়েছে। ফলে এখন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান /বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ বিভাগের সম্মতি ছাড়া পরিচালন ব্যয়ের চতুর্থ কিস্তির অর্থ খরচ করতে পারবে। জানা গেছে, করোনার এই সময় চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন কাক্সিক্ষত হারে হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বাজেটের অর্থ দ্রুত ছাড় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে গত মাসে চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অর্থ বিভাগের সম্মতি ছাড়া ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড় করারও অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। সে সময়ে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত কর্তৃত্ব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান/ অধিদফতর/পরিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের জিওবি (সরকারি) অংশের মোট বরাদ্দের ১৫ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অনূর্ধ্ব ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা যাবে। এই ৮৫ শতাংশ অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না। ওই অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাড় হয়েছে বলে গণ্য হবে। প্রকল্প পরিচালকগণ এ অর্থ সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন।’ এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, করোনার কারণে গত জুলাই মাসে এডিপি শতভাগ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটি লাগাম টানা হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল এডিপির জিওবি অংশের ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা যাবে। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হলে অর্থ বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হবে। বর্তমানে রাজস্ব আয় পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণে এডিপি আরো ১০ ভাগ অর্থ ব্যয় করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আগে যেমন ৭৫ ভাগ অর্থ ব্যয় করার জন্য আমাদের কোনো অনুমতির প্রয়োজন পড়তো না। এখন ৮৫ ভাগ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পিডিরা (প্রকল্প পরিচালক) আমাদের অনুমতি ছাড়াই অর্থ ব্যয় করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির আরো উন্নতি হলে শতকরা শতভাগ অর্থ ব্যয় করারও অনুমতি দেয়া হবে। অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থবছরের বাদবাকি সময়ে সরকার উদার থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host