শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রিজার্ভ নিয়ে তিন হিসাব, চাপ বাড়ছে ভাঙ্গুড়ায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানে লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু  ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয় নতুন প্রশাসনিক ভবনে স্থানান্তর এমআইটিতে পড়তে চায় নিঝুম,অর্পি-আলফির স্বপ্ন চিকিৎসক ভাঙ্গুড়ায় কৃষি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন ! ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড ‘‘তুমি এসেছিলে বলে হেসেছিল স্বাধীনতা, হেসেছিল বাংলা’’ দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে-ড. নাহিদ হুসেইন ভাঙ্গুড়ায় ৮ মহিলা সমিতির সাফল্যে নিয়ন্ত্রণ ছাড়লো সিসিডিবি! ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ওষুধ মজুতের অপরাধে মাধুর্য মেডিসিনকে জরিমানা: বিপুল পরিমান ওষুধ নষ্ট করা হয় ভাঙ্গুড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত  সাংবাদিক মানিকের জটিল অস্ত্রপচার!  ভাঙ্গুড়ায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ডিজি’র প্রকল্প পরিদর্শন

শ্রীমঙ্গলে বিষাক্ত সাপ উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ৭৬০ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি বিষাক্ত লাল-গলা ঢোড়া সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার শহরের নতুন বাজার সড়ক থেকে সাপটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে এনে রাখা হয়। সাপটি লম্বায় তিন ফুটের মতো।

সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, সকালে কয়েকজন লোক বাসায় এসে খবর দেয় বাজারে একটি অচেনা সাপ দেখা গেছে। পরে তিনি সাপটি ধরে আনেন। উদ্ধার হওয়া সাপটি লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি অনুমান করছেন হয়ত বনাঞ্চল থেকে বাজারে বিক্রির জন্য আসা কলা বোঝাই গাড়িতে করে সাপটি এসেছে।

সাপ বিষারদরা জানান, লাল-গলা ঢোড়া একটি বিষাক্ত সাপ। এরা কামড় দিলে মৃত্যু অবধারিত। এদের ইংরেজী নাম ‘Red necked-keelback’। আর বৈজ্ঞানীক নাম ‘Rhabdophis subminiatus’। এরা দেখতে ঢোড়া সাপের মতোই, শুধু মাথা থেকে গলা পর্যন্ত লাল। আর চোখের নীচে রয়েছে কালো কাজল। এ জন্য এই সাপটিকে দেখতে খুব সুন্দর দেখা যায়।

শুধুমাত্র এশিয়াতেই এদের বিচরণ। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিন-পূর্ব পাহাড়ি বনাঞ্চলের খাল-বিল বা পুকুরের আশেপাশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এক সময়ে আমায়ের দেশে এই সাপটি খুব বেশিদেখা যেত। কিন্তু এখন আইইউসিএন তালিকায় এরা সংকটাপন্ন। এরা ৭০ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের বিষগ্রন্থি নেই। কোন বিষদাত নেই। তাই এই সাপ বিষধর না কি নির্বিষ এ নিয়ে রয়েছে নানান বিতর্ক। এদের শরীরে বিষধর সাপের কোন বৈশিষ্ট না থাকায় বিজ্ঞানীরা রয়েছের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। তবে এ সাপের মাড়িতে খাজকাটা দাঁত আছে। এই দাঁত দিয়েই তারা বিষ প্রয়োগ করে। বিষ অন্য সাপের মতো নিউরোটক্সিক, হায়মোটক্সিক কিংবা সাইটোটক্সিক না হওয়ার কারণে বিষের এন্টি ভেনমও বিরল। এদের বিষ কিডনিকে অকার্যকর করে দিয়ে প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়।

এই সাপ যে পরিমাণ বিষ ছুঁড়তে পারে তা একটি গোখরো সাপের বিষের সমান। এরা যখন ফনা তুলে তখন অনেকটা রাজ-গোখরার মত দেখায়। এদের ঘাড় হতে একধরনের বিষাক্ত তরল নিঃসৃত হয়, যা পতঙ্গ জাতীয় ছোট প্রাণী মেরে ফেলতে সক্ষম। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর জন্যও এই তরল নিঃসৃত ক্ষতিকর। এরা খাল, বিল বা পুকুরের আশপাশে বসবাস করে। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কোলাব্যাঙ , টিকটিকি ও ইঁদুর।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও সরীসৃপ গবেষক শাহরিরায় সিজার রহমান বলেন, লাল-গলা ঢোড়া একটি বিষাক্ত সাপ। এদের এন্টিভেনম এখন রেব হয়নি। সাধারনত সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্জলে এদের দেখা যায়।

তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া সাপটি তাড়াহুড়ো করে ছাড়া ঠিক হবে না। সব প্রাণীই একটি নিয়মের মধ্য ছাড়তে হয়। সে কোন পরিবেশে ছিল তা জানতে হবে। সাপটি যেখান থেকে এসেছে তার কাছাকাছি কোন স্থানে ছাড়লে ভাল হয়। তা না হলে নতুন জায়গায় গিয়ে সে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে না। সে ওই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে। আর তখনই হয়ত গাড়ি চাপায় নয়তো মানুষের হাতে মারা পরতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

২ thoughts on "শ্রীমঙ্গলে বিষাক্ত সাপ উদ্ধার"

  1. poshupakhi says:

    এ প্রজাতির সাপকে সহজে দেখা যায় না।সাপদের সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারনা নিতে হবে। সাপদের বিভিন্ন প্রজাতির সাপদের সম্পর্কে আরও বেশি বেশি জানতে হবে।

  2. poshupakhi says:

    এই সাপটি আসলেই বিষাক্ত প্রাকৃতির। এদের থেকে সাধান থাকা উচিত।

Leave a Reply to poshupakhi Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd