মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত  সাংবাদিক মানিকের জটিল অস্ত্রপচার!  ভাঙ্গুড়ায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ডিজি’র প্রকল্প পরিদর্শন ভাঙ্গুড়ায় পশু-পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মাঠে ভাঙ্গুড়ায় ভুমি অফিসের অনলাইন কার্যক্রমে হযরানি কমেছে,নামজারি নিষ্পত্তি তরান্বিত ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে ইউএনও ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্রীড়া শিক্ষকের বাড়ি ভষ্মিভুত! ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি ভাঙ্গুড়ায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ক্লাস করছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ! অস্বস্তিতে ছাত্র-শিক্ষক প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী

প্রধানমন্ত্রীর; ছায়াতলে পরীক্ষিতদের স্বীকৃতি চাই

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৮৮ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post

সংবাদ ডেস্ক: শীতের কারণে ব্যথারা সব ফিরে এসেছে। সকালে বিছানা ছাড়তে জান বের হয়ে যায়। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না। হাত বাড়িয়ে পাশে রাখা ফোনটা নিয়ে ওয়াইফাই কানেক্ট করতেই শত শত নোটিফিকেশন। ম্যাসেঞ্জার উপচে পড়া খুদে বার্তা আর ছবি। অধিকাংশই এই সময়ের ছাত্রলীগ করা ছেলেমেয়ে অথবা কেউ বা দীর্ঘদিন ধরে ফলোয়ার। ছবি পাঠিয়ে ওরা লিখেছে- আপু আপনি, আপা আপনার ছবি, আপু ১/১১, আপা আপনার সাথে একদিন সামনাসামনি আড্ডা দিতে চাই। ১/১১ এর গল্প শুনবো, আপনাদের ছবি দেখি আর সব গল্প বলে মনে হয়, স্যালুট আপনাকে, আপনার জন্য ভালোবাসা প্রিয় মানুষ, তুমি আমার আপু আমি গর্বিত, অভিবাদন ছাত্রলীগের অগ্রজ।

সেই সময়ে আমরা যারা রাস্তায় নেমেছিলাম তাদের মাথায় একটা জিনিসই ছিল – আপার মুক্তি। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমাদের আপা ।প্রধানমন্ত্রীশুধু এই সুখটুকু নিয়েই শান্তিতে ঘুমাই। আপনাদের এই ভালোবাসা, আমাকে মনে রাখা- আমার কাছে অমূল্য।

আপার গ্রেফতারের পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম মিছিল করা ছেলেগুলো কে কোথায় আছে? যতদূর জানি এমপি মন্ত্রী তো দূরের কথা একটা চেয়ার পর্যন্ত জোটেনি কারো ভাগ্যে। যেসব বাঘা বাঘা আইনজীবী তখন আপার মামলা লড়েনি তারা এখন সবচেয়ে বড় ফাইটার। অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সাবজেলের সামনে শুধু টিভি ক্যামেরায় চেহারা দেখিয়ে অনেকেই রাতারাতি বড় ত্যাগীতে পরিণত হয়েছিলো। সবটা কাছ থেকে, একদম ভেতর থেকে দেখেছি। সেসময় রাস্তায় ছিল হাতেগোনা কিছু মানুষ। সেই মানুষগুলোর বিশেষ কোন চাওয়া নেই। তাদের একটাই চাওয়া একটু সম্মান, একটু মূল্যায়ন।

ওয়ান ইলেভেনে দেখেছি অনেক তুখোড় নেতাদের আপোষকামিতা, দেখেছি ভিন্ন সুরে কথা বলতে। অথচ গুটিকয়েক ছাত্রনেতারা সেদিন মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমেছিলো শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে। সেদিন তাদের দেখে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হাজারো নিবেদিত কর্মীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তুমুল আন্দোলনের মুখে জননেত্রী শেখ হাসিনারও মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলো তৎকালীন সেনাশাসিত সরকার। আজ সেই সব নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের যারা দূরে রাখতে চায়, তারা সেই দুর্বৃত্ত যারা চায় না বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়তে। তারা ভিন্ন আদর্শের লোকেদের অনুপ্রবেশ করিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে দুর্বল করতে চায়। তাঁর সকল অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়।

আজ যখন শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জনগণের ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম- লড়াই করছেন একজন শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পেয়েছে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার দৃঢ নেতৃত্ব এবং প্রজ্ঞার ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। ঘরে বাইরে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা থেমে নেই। সকল বাঁধা সংকট উত্তরণে শেখ হাসিনার পাশে দরকার দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীদের। যারা জীবনবাজি রাখতে প্রস্তুত সকল সংকটে। আজ তারা ফিরে আসুক সকল সিন্ডিকেট ভেঙে তাদের প্রিয় আপার মমতার ছায়াতলে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দরকার একটি পুনর্জাগরণ; যা দলের ভিতরে-বাইরে সকল ধরনের দুর্নীতি, অসততা ও অন্যায্যতা ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তাই আগামী দিনের সকল চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলায় তারুণ্য ও আগামীর নেতৃত্বকে প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য শেখ হাসিনার শুদ্ধতার জাগরণে ফিরে আসুক তারা, যারা জীবনবাজি রেখে গেয়েছিলো শিকল ভাঙার গান। যারা দলের দুঃসময়ে জেল, জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছে, দলের জন্য বিভিন্ন সময়ে ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদেরকে সামনে আনা হোক।

জীবন জীবিকার প্রয়োজনে আমি আজ রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। কিন্তু আমার সেই মিছিল আর বিপ্লব বিদ্রোহের প্রতিটা সহযোদ্ধার যথাযথ মূল্যায়ন চাই। হ্যাঁ, তাদের কোন বিশেষ কোঠা নেই। তবে আমি আমাদের আপা, আমাদের সব সময়ের আশ্রয় শেখ হাসিনার কোঠায় তাদের ত্যাগ আর সাহসের স্বীকৃতি চাই।

আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেক রথী মহারথীকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। অনেক নেতা, অনেক সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নেতৃত্ব দানকারী অনেকের সাথেই ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে। আমার অভ্যাস খুউব খুটিয়ে সবকিছু দেখা। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকেই দু’টি কথা বলা। আগেকার দিনে সেনাপতিরা লড়াইয়ের ময়দানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন, এখনকার মতন সেফজোনে বসে নয়।

শেখ হাসিনা হলেন সেই সেনাপতি যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তবে এটাও সত্যি উনার পাশে দরকার কিছু সাহসী আর ডাইনামিক নেতা যারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা কোন লিফটে চড়ে নন বরং একটা একটা করে সিঁড়ি ভেঙ্গে আজকের অবস্থানে এসেছেন। তাঁর দম প্রচুর। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ গোটা পৃথিবীর চেহারাটাই পাল্টে দিয়েছে। আমাদের প্রিয় স্বদেশও এর বাইরে নয়। শুধু অর্থনৈতিক নয় মানুষের মনোজগতেও একটা বড় ধাক্কা এসে লেগেছে। হিংসা, লোভ, পরশ্রীকাতরতা কোনটাই কমেনি বরং অস্থিরতা বেড়েছে সর্বক্ষেত্রে। আসুন এই মুহূর্তে ব্যক্তিস্বার্থ, গ্রুপিং, কাঁদা ছোড়াছুড়ি সব একপাশে সরিয়ে রেখে সবাই মিলে এই দেশটাকেই নতুন করে ভালোবাসি। আর এই নতুন লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছায়াতলে পরীক্ষিতদের স্বীকৃতি চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd