1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

এমপি পাপুল, স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের ৬১৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৬৮ সময় দর্শন

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামের ৬১৩টি ব্যাংক হিসাব  ফ্রিজ বা অবরুদ্ধে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আদালতের অনুমতি নিয়ে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের সই করা চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর পাঠানো হয়েছে। কমিশনের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে আজ সকালে আদালত থেকে অনুমতি পায় দুদক। চিঠিতে এম পি পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের মোট ৮টি ব্যাংকের এমডিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া অনুরোধ করা হয়েছে।

একই সাথে তাদের নামের দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০.২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট এটাচমেন্ট এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর  লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

আসামীদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,আসামীদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র ২৩ বছর বয়সী জেসমিনে নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।

অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখার অপরাধে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযােগ এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর , রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয় এজাহারে।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ভিসা বিক্রির অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠানের মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দের খবর বের হয়।

৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)  গ্রেপ্তার করে।  তার বিরুদ্ধে দেশটিতে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host