নামাজে আল্লাহর প্রতি তাজিম বা সর্বোচ্চ ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হয়। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হও বিনীতভাবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৮)
কাজেই ধীরস্থিরতা অবলম্বন করুন। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিকৃষ্টতম চোর হলো সেই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! নামাজে কিভাবে চুরি করে? তিনি বলেন, ‘যে রুকু-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত, হাদিস : ৮৮৫)
নামাজে হুজুরে দিল বা একাগ্র থাকা নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তাহলে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
নামাজে আল্লাহ তাআলার সামনে এমন মনোযোগ এবং ভীতিবিহ্বল হয়ে দাঁড়ানো আবশ্যক যেন অন্তরে কোমলতা নেমে আসে। যেমন—কোনো ব্যক্তি গুরুতর এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে এবং তার ব্যাপারে বিচারক ফাঁসির ফায়সালা দিয়েছেন। তখন তার অবস্থা বিচারকের সামনে কেমন হবে! এমনই ভীতসন্ত্রস্ত অন্তর নিয়ে আল্লাহ তাআলার সামনে দণ্ডায়মান হওয়া উচিত।
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে অজু করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সুন্দরভাবে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করে, তার এ নামাজ আগের সব গুনাহর কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য।’ (মুসলিম, হাদিস : ২২৮)
মহান আল্লাহ আমাদের উত্তম পদ্ধতিতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।