ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন পার করেছে ইতালি। আবারও সেই দুর্দিনের আতঙ্ক ফিরে এসেছে দেশটিতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে সেখানে।
গতকাল রেকর্ড গড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। এই অবস্থায় শিগগিরই নতুন কিছু বিধি-নিষেধ জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। সেই সঙ্গে মহামারি পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামলাতে চার হাজার কোটি ইউরো আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে দেওয়া হবে অতিরিক্ত আরো ১০০ কোটি ইউরো।
জানা গেছে, ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৬৩৪ জন এবং মারা গেছে ৩৬ হাজার ৬৪৫ জন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মানুষের রুজি-রুটি ও ব্যবসা যতটা সম্ভব অক্ষত রেখে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি প্রথম ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয় এবং তারাই প্রথম দীর্ঘ লকডাউন আর পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রীষ্মের মধ্যেই অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছিল সে দেশ।
তবে গত কয়েক সপ্তাহে ছবিটা আবারও বদলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শনিবার এক দিনে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯২৫ জন। এর পরদিন গতকাল রবিবার আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ জন; সর্বোচ্চ সংক্রমণ এটি। এর আগে রেকর্ড সংখ্যাটা ছিল ১০ হাজার ৯২৫ জন।
মাস্ক পরিহিত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুনভাবে লকডাউন এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা সময় নষ্ট করতে পারি না। লকডাউন এড়াতে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ এতে অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়ে। এ জন্য সবাইকে নিজেদের অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
বিভিন্ন শহরে রাত ১১টায় জনসমাগমস্থল বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকছে মেয়রদের হাতে। সেই সঙ্গে কখন রেস্টুরেন্ট খুলবে এবং কতসংখ্যক লোক জমায়েত হতে পারবে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন তারা।
সূত্র : বিবিসি।