ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নারীকে উত্যক্তের প্রতিবাদে বখাটেদের হামলায় আজ বৃহস্পতিবার আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে আহত পিতা-পুত্র দু’জনের মৃত্যু হলো। গত বুধবার রাতে তোরাপ আলী(৭৫) মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার তার ছেলে ফজলুলু হক(৩৫) মারা গেছেন। তারা দু’জনই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ডাসবেলাই গ্রামে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পিতা-পুত্রের কারো লাশই গ্রামে এসে পৌঁছেনি। রাজশাহীতে ময়না তদন্ত শেষে গ্রামে লাশ পৌঁছাতে রাত হতে পারে বলে নিহতদের পরিবার সূত্রে জানাগেছে। এদিকে হামলার ঘটনায় গ্রামের প্রধান আবুজল প্রামাণিক(৫৫)সহ পুলিশ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাদের পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,ওই গ্রামের মসজিদের পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে আব্দুল গফুর গং ও আবুজল গংদের মধ্যে পুর্ব শত্রুতা চলছিল। এর জের ধরে প্রতিপক্ষের বখাটে মফিদুল ইসলাম (৩৮)আব্দুল গফুরের পরিবারের এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে গফুর পরিবার ও স্বজনরা প্রতিবাদ করায় তারা হামলার শিকার হন।
এ ব্যাপারে রত্না খাতুন বাদি হয়ে বুধবার ভাঙ্গুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন। বাদি রত্না খাতুন জানিয়েছেন,বখাটে মফিদুল তাদের পরিবারের এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং তার কথায় রাজি না হলে এসিড নিক্ষেপেরও হুমকি দিয়েছিল। তিনি আরো বলেন,‘গ্রামের প্রধান বেল্লাল হাজি এবং আবুজল প্রামাণিক বখাটে মফিদুলের পক্ষ নিয়ে গত বুধবার ধারালো অস্ত্রশ্বস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এতে আমার শ্বশুর গফুর প্রামাণিক,চাচাশ্বশুর তোরাপ আলী,দেবর ফজলুল হকসহ পরিবার ও স্বজনদের ১৫ ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। ইতোমধ্যে দু’জন মারা গেছেন,আরো কয়েকজনের অবস্থা শংকটাপন্ন বলে তিনি জানান।
চাটমোহর সার্কলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।