ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নারীকে উত্যক্তের ঘটনায় বখাটেদের হামলায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তোরাপ আলী(৭৫)। দুই নারীসহ আহত হয়েছে আরো ১৪জন। পুলিশ বুধবার রাতে বখাটে মফিদুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করেছে। বুধবার হামলার ঘটনাটি ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ডাসবেলাই গ্রামে সংঘটিত হয়।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়,ওই গ্রামের গফুর আলীর পরিবারের এক নারীকে একই গ্রামের মৃত আছান আলীর ছেলে মফেদুল ইসলাম (৩৮)কয়েকদিন আগে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে গফুর আলী বাদি হয়ে গ্রামের প্রধান আবুজল প্রামানিক ও বেল্লাল হাজীর নিকট পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। কিন্তু প্রধানগণ অভিযুক্ত মফেদুল ইসলামের নিকট থেকে মোটা টাকা নিয়ে উল্টো গফুর আলীর বাড়িতে বুধবার সকালে তারা সাশাতে যান। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর আগে পুর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী বখাটে মফেদুল ইসলাম ধারালো ছুড়ি ও লাটিসোটা নিয়ে গফুর আলীর বাড়ির পিছনে অপেক্ষা করছিল। বেল্লাল হাজী ও আবুজল হুংকার দিয়ে তাদের ডাকা মাত্র ২০/২৫জন ঝাপিয়ে পড়ে গফুর গংদের উপর। হামলাকারীরা তোরাপ আলী ও ফজলুল হককে কুপিয়ে জখম করে এবং একই পরিবারের গফুর আলীসহ অপর ১৩জনকে পিটিয়ে আহত করে। তারা ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মাথায় জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন।
দুপুরে আশংকাজনক অবস্থায় তোরাপ আলী(৭৫)ও ফজলুল হককে (৩৫)রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তোরাপ আলীর মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন গফুর আলী (৫৫)ও অন্যান্য আহতরা জানান,খানমরিচ ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বেল্লাল হাজীর নেতৃত্বে একদল লোক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়ির উপর এসে অতর্কিত হামলা করে পরিবারের ১৫জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। এর পর বখাটে মফিদুলসহ চার হামলাকারী নিজেদের শরীরে নিজেরাই আঁচড়ে-হেঁচরে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি হয়। পুলিশ তাদের সঙ্গে সঙ্গে আটক না করে কালক্ষেপণ করে। মামলা নিতেও বিলম্ব করে। তোরাপ আলী মারা যাবার পর পুলিশের টনক নড়ে। পরে রাতে হাসপাতাল থেকে আসামীদের গ্রেফতার করে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু স্বীকার করে বলেন,দুই নারীসহ আহত আরো ১৪জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার বিকালে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টায় বখাটে মফিদুল ইসলাম (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩০), আনিছুর রহমান (৩৫) ও রুহুল আমিন (৫০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসামীদের গেফতারের নির্দেশ দেন। ।