পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলায় মাদ্রাসা শিশু শিক্ষার্থীকে ৩ দিন ধরে শিকল দিয়ে পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঈশ্বরদী সাহাপুর ইউনিয়নের কদিমপাড়া বুড়া দেওয়ান ন‚রানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই শিশু নির্যাতনের ঘটনা’টি ঘটে। আটককৃতরা হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মমিন, শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম ও সিনিয়র শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ। পুলিশ (০৯ অক্টোবর) শুক্রবার রাতে শিশুটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে ঈশ্বরদী থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী জানায়, তিন দিন তাঁকে শিকল দিয়ে বেধেঁ রেখে মারধর করা হয়েছে। তাছাড়াও তাঁকে সাতবার মাটিতে থু থু ফেলে তা চাটানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসির কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আমরা আটক করি।শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীর মা মূর্শিদা খাতুন জানান, মাদ্রাসায় শিক্ষার নামে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে শিশু শিক্ষার্থী মোবারক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে দাশুড়িয়ায় খালার বাড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে বুঝিয়ে তাকে গত বুধবার (৮ অক্টোবর) মাদ্রাসায় ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাকে ৩দিন লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।