1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

ঈদের পর কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি ইশরাকের

ডিডিএন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ৯ সময় দর্শন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে এখনো শপথ পড়ানো হয়নি। এই দাবি নিয়ে টানা তিন সপ্তাহ ধরে নগর ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে আসা ইশরাকপন্থীরা অবশেষে ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপটে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—সরকার যদি ঈদের ছুটির মধ্যে শপথ গ্রহণের আয়োজন না করে, তাহলে ছুটির পর ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এমনকি প্রয়োজনে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে নগর ভবনে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, “গত তিন সপ্তাহ নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদের হাতে। এই ভবন আমরা দখলে রেখেছি, আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি।” এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট থাকার পরও শপথ গ্রহণে তালবাহানা করছে। তিনি বলেন, “সরকার আইন-আদালত, সংবিধান, এমনকি নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা মানে না। তাহলে জনগণ কেন তাদের মানবে?”

ইশরাক জানান, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় আইনজীবীদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি নেই। তাই তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে আমি নিজেই শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ পড়ে চেয়ারে বসে যাবো—দুই মিনিটও লাগবে না।”

ইশরাক হোসেন ঘোষণা দিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোনো উপদেষ্টা বা প্রশাসন থেকে পাঠানো ‘বহিরাগত’ কাউকে নগর ভবনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নগর ভবন ঢাকাবাসীর, এখানে কেউ বাইরে থেকে এসে বসতে পারবে না। দরকার হলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমরা প্রশাসক বসাবো।”

এই আন্দোলনের ফলে গত তিন সপ্তাহ নগর ভবনের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। নগরবাসী সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অধিকাংশ কর্মকর্তা অঘোষিত ছুটিতে চলে গেছেন। ভবনের ফটকে তালা লাগানো থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কেবলমাত্র পরিচ্ছন্নতা বিভাগ কিছু সীমিত পরিসরে কাজ করছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস জয়ী হলেও, ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ইশরাক আদালতে মামলা করেন। আদালত চলতি বছরের ২৭ মার্চ নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে মেয়র ঘোষণা করে। তবে ১৪ মে এক রিট আবেদনের মাধ্যমে তার শপথ ঠেকাতে চেষ্টাও হয়, যা পরে হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। সেই আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলও গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছে।

সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালত বলেছে, নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইশরাক সরকারের বিরুদ্ধে ‘পদত্যাগের নাটক’ মঞ্চায়নের অভিযোগও এনেছেন। তার দাবি, আন্দোলন দমন করতে সরকার জনমানসকে ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল’ করেছে। তিনি বলেন, “আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না। দেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনে নাটক দিয়ে কোনো কল্যাণ হয় না।”

ইশরাক আরো বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারঘনিষ্ঠ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। কিন্তু আজও আমরা তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখিনি।”

সামনে কোরবানির ঈদ হওয়ায় ইশরাক নাগরিক দুর্ভোগ বিবেচনায় আন্দোলন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ছুটির পর যদি স্পষ্ট বার্তা না আসে, তাহলে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।”

তিনি বারবার দৃঢ় উচ্চারণ করেছেন—সরকার যদি যথাসময়ে শপথ না পড়ায়, তাহলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এবং নগর ভবনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন ঢাকাবাসীর ম্যান্ডেট অনুযায়ী।

সূত্র: এফএন্এস

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host