1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান কলেজ ছাত্র আবু কালাম

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৫৩ সময় দর্শন

বান্দরবানে লামা উপজেলাধীন সরকারি মাতামুহুরী কলেজের ডিগ্রী তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবুল কালাম। তারুন্যদীপ্ত, সদা হাস্যোজ্জ্বল এ মেধাবী ছাত্রের পদচারনায় আর বন্ধুদের সাথে আড্ডাই কিছু দিন আগেও মুখরিত হত কলেজ ক্যাম্পাস। গরীব বাবা-মায়ের পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে চোখে ছিলো স্বপ্ন জয়ের নেশা। হঠাৎ করে সবই শেষ ! প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাসে নেই তার পদচারনা। বন্ধুদের আড্ডায় নেই উপস্থিতি। ডিগ্রী ১ম ও ২য় বর্ষ কৃতিত্বের সাথে পাস করলেও দিতে পারেনি ৩য় বর্ষের পরীক্ষা। দু’চোখের সোনালী স্বপ্ন গুলো ঢেকে গেছে অন্ধকারের কালো চাঁদরে। সেখানে এখন শুধুই হতাশা। কোমরের হাড় ক্ষয় জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন সে পঙ্গু। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করতে না পারলে তার আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হবেনা। তাকে সারা জীবনের জন্যই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে। এছাড়া ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ঘটতে পারে আরো বড় দূর্ঘটনা।

 

আবুল কালামের পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের শেষের দিকে কোমরের নিচে সামান্য ব্যাথা অনুভব করে সে। বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। এক পর্যায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করে আবুল কালাম। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অভিজ্ঞ ডাক্তারের সরণাপন্ন হলে, পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কোমরে জয়েন্ট ক্ষয় জনিত রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তারের পরামর্শমতে আবুল কালামের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের সহযোগীতায় টাকা যোগাড় করে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার অপারেশন করান। অপারেশনের ৩/৪ মাস পর ব্যাথা আরও বেড়ে যায়। অপরেশনের আগে স্ট্রেচ ছাড়া খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে পারলেও অপরেশনের পরে স্ট্রেচ ছাড়া একেবারেই হাঁটতে পারছেনা সে। পুনরায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার জানান, অপারেশন সফল হয়নি। আবার অপারেশন করতে হবে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় দশ লক্ষ টাকা । আবুল কালামের বাবা জাহাঙ্গির আলম একজন দরিদ্র কৃষক।

 

মা দিলারা বেগম গৃহিনী। সংসারে ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে আবুল কালাম সবার বড়। এত বড় সংসরের ব্যয় বহন করা তার কৃষক পিতার পক্ষে কষ্ট সাধ্য বিষয়। ইতিমধ্যে ছেলের একবার অপারেশনসহ চিকিৎসা করতে সহায়-সম্বল যা ছিলো সবই শেষ। বর্তমানে আবারো অপারেশন করতে ১০ লক্ষ টাকার কথা শুনে নির্বাক গরীব বাবা-মা। তাদের দু’চোখে এখন ঘোর অমানিশার অন্ধকার। এখন আর চিকিৎসা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। ছেলেকে বাঁচাতে তারা বিত্তবানদের দুয়ারে দুয়ারে ধরর্ণা দিচ্ছেন। পরিবারের দরিদ্রতা এবং অসহায়ত্বের দরুন কলেজ ছাত্র আবুল কালাম তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে এবং তার ব্যয় বহুল চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চান। ইতিমধ্যে সহপাঠি ও শিক্ষকগণ কালামের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন।

 

সমাজের বিত্তবানরাও কালামের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে সে। আবারো বন্ধুদের আড্ডায় ও কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা যাবে কালামকে। তার স্বপ্ন গুলো কালো আঁধার কাটিয়ে আবারো রঙিন হয়ে উঠবে। হাঁসি ফুটবে কালামের দরিদ্র পিতা-মাতার মুখে। সাহায্য পাঠাতে আবুল কালামের বিকাশ- ০১৮২৮৯৩৫০১৮ এবং নগদ – ০১৬২৬১৬৪৮৫২।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host