একটি আদর্শ ও প্রাণবন্ত মসজিদ হলো, যার ভিত্তি তাকওয়ার ওপর, তাতে কোনো লোক-দেখানো মনোবৃত্তি কাজ করে না। আর যে মসজিদে নেককার, দ্বিনদার, আলেম-ওলামা ও বুজুর্গ ব্যক্তিদের উপস্থিতি বেশি, সে মসজিদে নামাজ আদায় করা অনেক ফজিলত ও বরকতপূর্ণ।
মসজিদের পবিত্রতাসংক্রান্ত কিছু কথা এখানে উল্লেখ করা হলো—
মসজিদের নিজস্ব প্রস্রাবখানা ও শৌচাগার থাকলে কোনো অসুবিধা নেই; বরং মসজিদ কমিটির উচিত এর ব্যবস্থা করা। তবে এগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করা জরুরি। এগুলো থেকে যেন কোনো দুর্গন্ধ না ছড়ায়, এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য।
পেঁয়াজ-রসুন তথা দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু খেয়ে মসজিদে আসা নিষিদ্ধ। (তিরমিজি : হাদিস : ১৮০৬)
গ্রামের মসজিদগুলোতে অনেকে হারিকেন বা কেরোসিন তেলের বাতি রাখেন, এটা উচিত নয়। কারণ কেরোসিন একটি দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু, যা মসজিদে প্রবেশ করানো অনুচিত। সুতরাং সেখানে মোমবাতির ব্যবস্থা রাখবে। একান্ত অপারগতায় মসজিদের বাইরে দুই পাশে হারিকেন রাখা যায়। (তিরমিজি, হাদিস ১৮০৬; ইমদাদুল আহকাম, ৩/১৮১)
হাদিস শরিফে মসজিদকে সুগন্ধময় রাখার কথা রয়েছে। বিশেষ করে জুমার দিন অবশ্যই মসজিদ সুগন্ধময় করা নবীজি (সা.)-এর সুন্নত। বর্তমানে এ সুন্নত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সুতরাং এ সুন্নতের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস ৫৯৪, মিরকাত : ২/৩৯৩)
মসজিদের গেটে জুতার ধুলাবালি ঝেড়ে কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলবে, এটাই হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৬৫৪)
আজকাল সিজদার জায়গার সামনে জুতা রাখা হয়। সিজদায় গেলে অনেক ক্ষেত্রে জুতা মাথায় লাগে। তা ছাড়া জুতার বাক্সে কোনো ঢাকনা থাকে না। এতে ধুলাবালি বের হয়ে মসজিদ অপরিচ্ছন্ন হয়। সুতরাং জুতা বাক্সে রাখতে হলে বাক্সের ঢাকনা থাকা উচিত। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৫৫-৪৫৬)।