পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার একমাত্র মহিলা ডিগ্রি কলেজের কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী ১২ বছর বেতন পাচ্ছেন না। নিয়মিত পাঠদান করে এলেও বেতন না পেয়ে অমানবিক পরিবেশে জীবনযাপন করছেন তারা । ২০১৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে বিএ, বিএসএস এবং বিকম ডিগ্রি কোর্স চালু করা এই কলেজটি তাদের কর্মীদের কোনও আর্থিক সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
অনুমোদনের পর থেকেই ১৫ জন বিষয়ভিত্তিক প্রভাষক এবং ডিগ্রির জন্য নিযুক্ত ৫ জন কর্মচারী এমপিওভুক্তির জন্য অপেক্ষা করলেও ১২ বছরে তাদের কেউ এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। ফলস্বরূপ, এই শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না।
কথা হয় একজন ভুক্তভোগী, প্রভাষক জয়নুল আবেদীন জীবন-এর সাথে। তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা নিয়মিত সরকারি বেতন পেলেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তারা ১২ বছর ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। এখন তারা তাদের পরিবারের সাথে চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। তাছাড়া, ঈদের আগে তারা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের জন্য পোশাক ও ভালো খাবার সহ ন্যুনতম চাহিদা মিটাতে পারছেন না।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, এমপিওভুক্ত হতে না পারায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী সমস্যায় পড়েছেন। তাছাড়া, যেহেতু মহিলা কলেজ ছাত্রীদের বেতন নেই, তাই কলেজ থেকে সেই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদান করা সম্ভব নয়।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা বলেন, এখানে পাঁচ শতাধিক মহিলা ছাত্রী পড়াশোনা করে, কিন্তু সরকার ডিগ্রি স্তরের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয় না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি নারী শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও মর্যাদা এবং বেতন দেওয়ার দাবি জানান।